রাজশাহীতে প্রতারক দম্পতীর রোষানলে ভাতিজা, প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তোভুগি ভাতিজা মোঃ আশিক ইকবাল অন্তুর (২৫)। প্রতারক চক্রের মূল হোতা, ভুয়া দুদক অফিসার ও প্রতরণা মামলায় র‌্যাব কর্তৃক একাধিকবার গ্রেফতার ও অশিক্ষিত নুরে ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে বুধবার( ৫ অক্টোবর) দুপুর ১টায় রাজশাহী নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী মোঃ আশিক ইকবাল অন্তুর নওগাঁ জেলার থানা মান্দা থানার দেলুয়াবাড়ি গ্রামের মোঃ গোলাম রাব্বানীর ছেলে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সে তার আপন ফুপা নূরে ইসলাম ও তার স্ত্রী আমার ফুফু ফাহমিদা আফরিন মৌ (পান্না) কর্তৃক প্রতারনা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তিনি নওগাঁ জেলার নিজ বাড়ি থেকে ২০১৫ সালে ৯ মার্চ প্রতারক মিলন দম্পত্তীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তাদের বাড়িতে অবস্থানকালে মিলন দম্পত্তী রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক উপচার পত্রিকায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেন। সেই সাথে মাসিক বেতন ৬ হাজার টাকা র্ধায্য করেন। তাদের প্রস্তাবে সে রাজি হয়ে দৈনিক উপচার পত্রিকা অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় নগরীর একটি জুয়ার বোর্ড পরিচালনাকারীর কাছে চাঁদা চেয়ে ব্যর্থ হয় মিলন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই ব্যক্তিদের নামে দৈনিক উপচার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। সেই জের ধরে ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে মিলনের উপরে হামলা করে জনৈক ব্যক্তিরা। ওই সময় মিলনকে বাঁচাতে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে হামলাকারিদের পিস্তলের ছোড়া গুলিতে অন্তর তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৪নং ওয়ার্ডে ১৫দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা শেষে মিলন তার বাড়িতে নিয়ে আসে।
এরপর দীর্ঘ ৬মাস মিলন দম্পত্তীর বাসায় বিছানাগত অবস্থায় চিকিৎসা নেয়। এরই মধ্যে আমার শরীরে ২বার অস্ত্রপাচার হয়। ব্যয়-বহুল চিকিৎসা খরচ তার বাবা এবং আমার আত্মীয়-স্বজন বহন করে। ওই সময় প্রতারক মিলন অন্তরের চিকিৎসার নাম করে বিভিন্ন অফিস আদালতসহ- বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। যার ৯০ ভাগ অর্থ আত্মসাৎ করেন মিলন।
এরপর সে সুস্থ হয়ে পূণরায় উপচার পত্রিকায় যোগদান করেন। এরই মধ্যে প্রতারক মিলনের বাড়ি থেকেই অন্তরের বিবাহ হয়। সাংসারিক খরচ চালাতে অর্থের প্রয়োজন হয় অন্তরের। কিন্তু দৈনিক উপচার পত্রিকাটি নিয়মিত ছাপা হয় না। আবার তাকে নিয়মিত বেতনও পরিশোধ করতো না। বেতনের বিষয়ে কথা উঠলেই মিলন গালিগালাজসহ রাজশাহী থেকে নওগাঁ চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। সব মিলিয়ে কোনো উপায় না পেয়ে জিবিকার তাগিতে নিজ জেলা নওগাঁয় নিজ বাড়িতে ফিরে যায়।
পরে সে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাওয়ার ৩ মাসের মাথায় মান্দা থানায় অন্তরের বিরুদ্দে একটি মিথ্যা চুরির অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারক মিলন। তার উদ্দেশ্যই ছিলো তাকে ব্ল্যাকমেইল করা। তার পরও সে ফিরে না আসায় দফায় দফায় হাত পা ভেঙ্গে দেয়সহ প্রাণ নাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে মিলন।
এরই মধ্যে রাজশাহীর মোহনপুর থানার গোছাবাজার এলাকায় দৈনিক উপচার পত্রিকার নামধারী সাংবাদিক আসগর আলী সাগরকে অজ্ঞাত কারনে মারপিট করে সেখানকার স্থানীয় জনগন। এ ঘটনায় অন্তরকে ফাঁসাতে প্রতারক মিলন বাদি হয়ে তাকেসহ কয়েকজনের নামে মামলা করেন।
এই মামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় অন্তর। সে বলে নওগাঁ জেলা থেকে মোহনপুরে এসে মারামারি করা একবারেই হাস্যকর ও বিভ্রান্তিকর।তিনি আরও বলেন, প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতানো মামলায় তিনতিনবার র‌্যাব-৫, এর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেছে।
এছাড়া রাজশাহী শহর জুড়ে তার প্রতারনা ও ব্যাকমেইল চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। তার দৃশ্যমান আয়ের কোন উৎস নাই তবে উপচার পত্রিকার কার্ড বিক্রি করা তার দৃশ্যমান বানিজ্য। অপকর্মই তার কর্ম। রাজশাহী নগরীতে তার একটি নিজস্ব প্রতারক সিন্ডিকেট রয়েছে। তার বিষয়ে কেউ মুখ খুললেই হামলা আর মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়। তার সহযোগিদের নিয়ে প্রতারক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে মিলন। অশিক্ষিত এই মিলন মানুষের সাথে প্রতারনা ও ব্যাকমেইল অব্যাহত রেখেছে।
ভুক্তভোগী অন্তর সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ জানায়, সাংবাদিকরা যেন লিখুনির মাধ্যমে প্রতারক মিলনের বিষয়টি তুলে ধরেন। যাতে আইন প্রয়োগকারি সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা তাকে গুরুত্ব না দেন এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সেই সাথে তার নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য রাজশাহী মাননীয় পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপার মহাদয়ের নিকট আকুল আবেদন জানায়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি জি, এম হাসান ই-সালাম (বাবুল) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.