রাজশাহীতে প্রচন্ড খরায় কৃষিতে পড়ছে প্রভাব, ঝড়ছে আম

বিশেষ প্রতিনিধি: প্রকৃতিতে এখন ভরা বৈশাখ মাস। মেঘের ভেলায় কমবেশি ঝড়-বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে গাছের আম, পুড়ছে রাজশাহীর জনজীবন। শুরুর দিকে এ অঞ্চলে আম গাছের ডালে মুকুলে ভরে যায়। এমনও দেখা গেছে মুকুলের ভারে অসংখ্য আমের ডাল নুঁয়ে পড়েছে মাটিতে। গুটি গুটি আম ছেয়ে যায় পুরো গাছ। তা দেখে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আম চাষিরা।
কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে ঝড়ে পড়ছে আম, লিচুসহ মৌসুমি ফল। বৈশাখ মাস ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে দিন কাটানোর কথা থাকলেও প্রচÐ খরায় কৃষির ওপরে পড়ছে ব্যাপক প্রভাব।
খরতাপে ঝরে পড়ছে আম। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে ভারী বৃষ্টিপাতের অভাবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় রাজশাহীতে চলছে হাহাকার। আম চাষে অন্যতম ভ‚মিকা পালন করে থাকেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলা।
এ উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চোখে পড়বে ছোট- বড় নানান জাতের আমের বাগান। রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়সহ বাড়ির আঙিনায় শোভা পাচ্ছে সুস্বাদু জাতের আমের গাছ। এসবের মধ্যে ক্ষীরশাপাতি, আম রুপালি, গোপালভোগ, বারিফোর, ন্যাংরা, হাড়িভাঙ্গা ও নাগফজলি আম উল্লেখযোগ্য।
সম্প্রতি আকাশের পানি না হওয়ায় ঝরে পড়তে শুরু করেছে গাছের আম। ঝরে পড়া আম দেখে বাগান মালিকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
আম চাষি বাবু জানান, ১৫ বিঘা জমিতে রয়েছে আমের বাগান। শুরুর দিকে মুকুল ভর্তি আমের বাগানে গুটি গুটি আমে ছেয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আকাশে বৃষ্টি না হওয়ায় ঝরে পড়ছে আম। গুটি গুটি আমগুলো রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে বৃষ্টি অতি জরুরী হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি রুক্ষ আবহাওয়ার সঙ্গে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ায় গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আম।
রাজশাহীতে এ বছর ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান আছে। গত বছর ১৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান ছিল। এবার বাগান বেড়েছে ৩৭৩ হেক্টর জমিতে। এ বছর হেক্টর প্রতি ১১ দশমিক ৯ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে জেলায় এ বছর মোট দুই লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলেও জানান জেলা কৃষি কর্মকর্তা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.