রাজশাহীতে পৌরমেয়র তোফাজ্জল সহ আটক ১১

নিজস্ব প্রতিবেদকরাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেনসহ ১১ নেতাকর্মীকে আজ শনিবার দুপুরে আটকের পর পাঁচদিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পুলিশের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের দিন নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এজন্য তারা পৌরসভায় গোপন বৈঠকে বসেছিলেন। খবর পেয়ে  দুর্গাপুর পৌরসভা ভবন থেকে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করেন দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মোতালেব।

আটক অন্যরা হলেন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাহার আলী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মজনু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি নুর হোসেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলাইমান আলী, পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, দৌলিয়া বাড়ি ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মেয়র তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জজামান মনি, ভাগ্নে রবিউল ইসলাম রবিন ও আওয়ামী লীগ কর্মী সাকিল।

ওসি বলেন, গতকাল ‘শুক্রবার মধ্য রাত থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু মজিদের সমর্থকরা বিধি ভঙ্গ করে বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এই অপরাধে তাদের আটক করা হয়েছে।

এ সময় মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের কাছে তার লাইসেন্স করা অস্ত্র পাওয়া যায়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্ত্র জমা দেয়ার কথা থাকলেও তিনি জমা দেননি।

তাদেরকে আটকের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ ও জর্জ মিত্র চাকমা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেককে পাঁচদিন করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মজিদের অভিযোগ, ‘দুর্গাপুর পৌর কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে বৈঠক করছিলেন মেয়রসহ বেশকিছু নেতাকর্মী। কিন্তু প্রশাসন কোনো কারণ ছাড়াই তাদের আটক করেছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি আমানুল্লাহ আমান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.