আরএমপিপ্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৪ নারীসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র শাহমখদুম থানা পুলিশ। আসামিদের গতকাল বিকালে শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়া বনলতা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার মো: এমরান হোসেন পূর্ব পরিচিত রানা আহম্মেদ। গত ৫ জুন ২০২৪ সকাল ১০ টায় ইমরানকে তার শাহমখদুম থানার পবা নতুনপাড়া বনলতা আবাসিকের বাসায় দাওয়াত দেয়। ইমরান তার তিন বন্ধুকে সাথে নিয়ে দাওয়াতে যান। সেখানে ইমরান রানা ও তার স্ত্রী ছাড়াও আরও তিন মেয়েকে দেখতে পান। এসময় রানা পপি আক্তারকে তার স্ত্রী এবং অন্য তিন জনকে তার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়া বলে পরিচয় করে দেয়। বিকাল সোয়া ৪ টার দিকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ১০-১২ জন সেখানে আসে। তারা জোর করে ইমরান ও তার বন্ধুদের একটি কক্ষে আটকে রাখে। সেখানে তাদের সাথে আসামি সম্পা, সুমি ও পিয়াংকাকে বসিয়ে অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ছবি তুলে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। ইমরান ও তার বন্ধুরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তাদের মারপিট করে আহত করে এবং তাদের কাছে থাকা ৩১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও আসামিরা ইমরান ও তার বন্ধুদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আসামি রানা পরিকল্পিতভাবে নারী দিয়ে ফাঁসানোর এ কাজটি করেছে বুঝতে পেরে ইমরান ও তার বন্ধুরা চিৎকার শুরু করে। এসময় পাশেই টহলরত শাহমখদুম থানা পুলিশ চিৎকার শুনে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি রানাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন পালিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আরএমপি’র শাহমখদুম থানায় মামলা রুজু করে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.