রাজশাহীতে নামাজ পড়ার কথা বলে নগদ অর্থসহ স্বর্ণলংকার চুরি, তিন মহিলা প্রতারকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীর শিরোইল কলোনীতে নামাজ পড়ার কথা বলে বাসায় প্রবেশ করে তিন নারী প্রতারক। এসময় তাদের মুখে মাক্স পড়া ছিলো। তাদের একজনের কোলে ছিলো একটি ৪ বছরের শিশু। পরে কৌশলে আলমিরা থেকে স্বর্ণলংকার ও নগদ অর্থ চুরি করে নিয়ে যায় তারা।
সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চন্দ্রিমা থানাধীন শিরোইল স্কুল মাঠ এলাকার মরহুম ইউসুফ শেখ মগলুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটায় তারা। লুটে নিয়ে যায়,দুই ভরি স্বর্ণলংকার, এক ভরি চাদির গহনা ছাড়াও নগদ অর্থ।
মগলুর ছোট ভাই মুরাদ হোসেন জানান, দুপুরের দিকে মুখে মাক্স পড়া তিন জন মহিলা তার ভায়ের বাসায় প্রবেশ করে। এসময় বাসায় তার ভাবি ছাড়া কেউ ছিলোনা। পরে নামাজ পড়ার কথা বলে মুরাদের ভাবিকে জায়নামাজ আনতে বলেন। এর আগে বাসা ভাড়া নিবে বলে সমস্ত বাড়ি ঘুরে দেখার পর বাসা পছন্দ হয়েছে বলে জানায়, মুরাদের ভাবিকে। এছাড়া তারা বাসায় আজই উঠবো বলে জানায়। এদের মধ্যে এক মহিলা ৫০০ টাকার একটি নোট দিয়ে মুরাদের ভাবিকে বলে, আমাকে টাকা ভাংতি করে দেন। তিনি সরল বিশ্বাসে তাদের সামনেই আলমিরা খুলে টাকা ভাংতি করে দেন। ভাংতি করার পর প্রতারকরা তাকে কিছু কোরান হাদিসের কথা শোনান। ঐসময় যোহরের আযান দেওয়া মাত্রই প্রতারকরা বলেন, আমরা নামায পড়বো, নামাজের ব্যবস্থা করা যাবে? এসময়
মুরাদের ভাবি বলেন, আপনারা একটু অপেক্ষা করেন আমি গোসল করে আসি একসাথে নামাজ পড়বো।
তিনি গোসল করতে গেলে প্রতারণাকারিরা সুযোগ বুঝে তৎক্ষণাৎ আলমিরা খুলে কয়েক ভরি সোনা ও নগদ আড়াই হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। মুরাদের ভাবি গোসল থেকে এসে দেখেন আলমিরা খোলা এবং তারা ঘরের ভেতর নেই। তিনি চিৎকার দিলে ডলি নামের অন্য এক ভাড়াটিয়া এগিয়ে আসেন। আশেপাশে তাদের খুজে পাওয়া না গেলে ভুক্তভোগি চন্দ্রিমা থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
চুরি হয়েছে এক জোড়া স্বর্ণের রুলি বালা, একটি চেইন, একটি আংটি, তিনটি কানের টপ ও একটি স্বর্ণের ব্রেসলেটসহ চাঁদির দুটো আংটি ও নগদ আড়াই হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, আমরা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। মুখে মাক্স পরে থাকায় তাদের চেহারা বুঝা যাচ্ছেনা। তবে তিন প্রতারক মহিলাকে ধরতে ইতিমধ্যে পুলিশ কাজ করছে। অতি দ্রুত তাদের আইনের জালে নিয়ে আসা হবে বলেও জানান ওসি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) রাজশাহী। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.