নিজস্বপ্রতিবেদক: রাজশাহীতে প্রবাসীর স্ত্রী’র দায়ের করা ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো সহ নানা ধরনের হমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে ধর্ষক মাসুদ রানা মিল্টন (৪৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সে মহানগরীর রাজপাড়া থানাধিন বহরমপুর এলাকার মৃত সাত্তার আলীর ছেলে।
অপর দিকে, নির্যাতিতা নারীর নাম মোসাঃ মৌসুমি বেগম (৩৪), সে একই থানার বসুয়া এলাকার মোঃ মুক্তার আলী মেয়ে।
ভূক্তভোগী মৌসুমি জানায়, তার সাবেক স্বামী প্রবাসী থাকা অবস্থায়। মাসুদ রানা মিল্টনের সাথে পরিচয় হয়। সেই পরিচয় প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। এক পর্যায়ে (৩০ জুলাই ২০২১) মিল্টনের সাথে মৌসুমি বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের ১৪ মাস পরে ২লাখ যৌতুকের দাবিতে (৩০ মার্চ ২০২২) মৌসুমিকে তালাক দেয় মিল্টন। এরপর থেকে মৌসুমী তার বাবার বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। পরে যৌতুক লোভী মিল্টনের বিরুদ্ধে পরিবারের সাথে পরামর্শ করে রাজশাহীর আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি তিনি মহানগরীর লক্ষীপুরে অবস্থিত একটি ক্লিনিকে চাকরি শুরু করেন।
মামলার ৩মাস পরে মিল্টন আবারও মৌসুমির সাথে যোগাযোগ করে। বলেন, আমার সকল ভ‚ল বুঝতে পেরেছি। আমি আবার নতুন ভাবে সংসার করতে চাই। কিন্তু মৌসুমি মিল্টনের ফাঁদে পা দিতে নারাজ। সে তাকে এড়িতে চলতে থাকে। আর মিল্টন নাছোড় বান্দা মৌসুমির যাতায়াতের পথে প্রায় প্রতিদিনই অপেক্ষা করতো এবং মৌসুমির কাছে ভ‚ল স্বিকার করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে মৌসুমি মিল্টনকে বিশ্বাস করতে থাকে।
এরপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সাবেক স্বামী মাসুদ রানা মিল্টন মৌসুমিকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। তার কথায় সরল বিশ্বাসে মৌসুমী বিয়েতে সম্মতি জানায়। ওই দিনই রাত ১০টার দিকে মিল্টন কাজি ডেকে বিয়ে করবে বলে মৌসুমিকে তার এক আতœীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর মৌসুমিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে মিল্টন। পরে বিয়ে করবে না সাফ জানায় সে এবং মৌসুমিকে বিয়ে না করে তাড়িয়ে দেয়।
এরপর মৌসুমী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহন করে। চিকিৎসা শেষেজেলা রাজশাহীর বিজ্ঞ (০১) নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যাহার তদন্তভার বিজ্ঞ আদালতকতৃক সিআইডতে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে মিল্টন। মৌসুমিকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছে।
এরই মধ্যে মিল্টন বিভিন্ন সময় তার বাড়িতে দুইবার নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য ইয়াবা বাইরে থেকে বাড়িতে ছুড়ে ফেলে পুলিশ পাঠিয়েছে বলেও অভিযোগ মৌসুমির।
এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মিল্টন বলেন, মৌসুমিকে বিয়ের পর আমার জিবনটা এলোমেলো হয়ে গেছে। সে হয়রানী করতে আমার নামের একের পর এক মামলা দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তার চরিত্রে সমস্যা আছে এবং আমার কাছে প্রমান রয়েছে। র্যাব-৫, এর কাছে বিচার প্রার্থী হবেন বলেও জানায় মিল্টন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.