রাজশাহীতে ধর্ষণকারীকে ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষোভে ধর্ষীতা গৃহবধূর আত্মহত্যা, কাউন্সিলরসহ গ্রেফতার-৩

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে। গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এক ধর্ষককে ধরে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু কাউন্সিলর তাকে ছেড়ে দেন।
এ নিয়ে ক্ষোভে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় কাউন্সিলরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলো: কাঁকনহাট পৌরসভার ১-নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশু, আকবর আলী ও মেরাজুল ইসলাম। প্রত্যেকের বাড়ি কাঁকনহাট পৌরসভার ঘিয়াপুকুর মহল্লায়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) গ্রেফতারকৃত ০৩ জনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মফিজুল ইসলাম। তার পিতার নাম আতাউর রহমান। সেও ঘিয়াপুকুর মহল্লার বাসিন্দা। গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কাউন্সিলরের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত মফিজুল। তাকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।
মৃত তিন সন্তানের জননী এই গৃহবধূর নাম সখিনা বেগম (৩৫), বাড়ি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট পৌরসভার ১-নং ওয়ার্ডের ঘিয়াপুকুর মহল্লায়। তার স্বামী কামাল হোসেন চাকুরীর সুবাদে চট্টগ্রামে থাকেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় সুত্রে জানান, গত বুধবার দিবাগত রাতে মফিজুল ইসলাম দুই সন্তানের মা সখিনা বেগমের ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশী আকবর আলী ও মেরাজুল ইসলাম ধর্ষক মফিজুলকে ধরে কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশুর কাছে নিয়ে যান। কিন্তু কাউন্সিলর রাতেই মফিজুলকে ছেড়ে দেন। এরপর ক্ষোভে রাতেই ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল লতিফ৷ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে ছিলেন। সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বলেন, পুলিশকে না জানিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়ার কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। সেই কারণে পৌর কাউন্সিলরসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণ ও তার আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় কারাগারে পাঠানো তিন জনসহ মোট চারজনকে আসামী করা হয়েছে। প্রধান আসামী করা হয়েছে ধর্ষণে অভিযুক্ত মফিজুলকে। সে পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.