রাজশাহীতে দোকানপাট খুলে মানুষে-মানুষে লকডাউনের দাবী’ জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীতে করোনার উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে দোকানপাট, বিপণী বিতান খোলা রেখেই মানুষে মানুষে লকডাউন জারি করার দাবী জানিয়েছে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুন) ২০২১ ইং সকালে সংগঠনটির সভাপতি সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলার যৌথ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ নেতারা বলেন, চলমান লকডাউনই করোনা নিয়ন্ত্রণে সমাধান নয়। করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সবার আগে দরকার। তবে এর প্রকোপ ঠেকাতে সকল দোকানপাট, বিপণী বিতান সারাদিন এমনকি রাত ৩টা পর্যন্ত খোলার রাখার ব্যবস্থা মানুষে-মানুষে লকডাউন জারি করতে হবে। কেননা অল্প সময় দোকানপাট খোলা থাকায় মানুষেরা হুমড়ি খেয়ে মার্কেটে যাচ্ছে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি সেখানে রয়েই যাচ্ছে। কিন্তু মার্কেট সারাদিন খোলা রাখলে সেটি হবেনা। যেকোনো সময় কেনাকাটা করতে পারবে তারা। ফলে রোধ হবে করোনা। তবে বজায় রাখতে হবে দুরত্ব। মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। সেটিই হবে মানুষে-মানুষে লকডাউন।
সংগঠনের নেতারা আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠী খুবই বিপদে পড়ে গেছেন। বিশেষ করে অটোরিকশাওয়ালা চরম দূর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। একবেলা গাড়ি চালিয়ে তাদের অটোরিকশার গ্যারেজের জমার টাকাই উঠছে না। সংসার নিয়ে রয়েছেন চরম টানাপোড়েনে। ফলে সেদিকেও লক্ষ্য রেখে সবকিছু স্বাভাবিক করে মানুষে-মানুষে লকডাউন জারি করা উচিত।
এ প্রসঙ্গে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের প্রচার সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, মাথা ব্যাথার ওষুধ মাথা কেটে ফেলা নয়। করোনারোধে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর পরিবর্তে সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকা কোনো সমাধান হতে পারে না। মানুষকে লড়াইয়ের মধ্য দিয়েই পৃথিবীতে বসবাস করতে হবে। তিনি সবকিছু খুলে দেয়ার পাশাপাশি দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ারও জোর দাবি জানান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.