রাজশাহীতে তাপমাত্রা বাড়ছে, তাপদাহে জীবন ওষ্ঠাগত
নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশাখের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজশাহীতে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপদাহ। সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত একই মাত্রায় থাকছে এই অসহ তাপদাহ। এতে দুপুর গড়াতেই পথ-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। এছাড়া দিনভর তাপদাহের পর রাতে ভ্যাপসা গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে নগরজীবন।
তীব্র রোদ ও গুমোট আবহাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক শহীদুল ইসলাম বলেন, ১৯ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা বাড়ছে। রাতের দিকে মাঝে-মধ্যে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমছে না।
প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০ এপ্রিল ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২১ ও ২২ এপ্রিল তাপমাত্রা একটু নামলেও ২৩ এপ্রিল তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এছাড়া মঙ্গলবার বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মানে তাপমাত্রা কেবলই বাড়ছে।গরমে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন মহানগরের খেটে খাওয়া মানুষজন। বিশেষ করে রিকশাচালক, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে দিনমজুরদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে বৈশাখ মাসেই।
আবহাওয়া অফিস বলছে, মাঝে-মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা বেশি থাকায় গরম কমছে না। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কম থাকলে এতো গরম অনুভূত হতো না। দেখা গেছে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তীব্র গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে অনেকেই ছুটছেন আখের রস, তরমুজ, শসা ও ডাবের পানির দিকে। কনফেকশনারি থেকে শুররু করে বিস্কুট বিপণীগুলোতে আইসক্রিম ও কোমল পানীয় ও ঠান্ডা পানির বেচা-বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ।
শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরম অনুভূত হচ্ছে। মাঝে-মধ্যে কালবৈশাখী ও বৃষ্টি হলেও আপাতত তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।এদিকে ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার ২৫ এপ্রিল সারাদেশে শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে আকাশের মেঘাচ্ছন্ন অবস্থা বজায় থাকবে।
এছাড়া, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনায় বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.