রাজশাহীতে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রিতে অনিয়ম


নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রিতে চলছে অনিয়ম। খোলা বাজারে পেঁয়াজের উর্দ্ধমুখী দাম থাকায় টিসিবির পেঁয়াজের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে শেষ পর্যায়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

নিয়মানুযায়ী প্রতিদিন ১টন করে পেঁয়াজ বিক্রির কথা। পূর্বের তুলনায় ঢিলেঢালা লাইনেও দুপুরের আগেই ১টন পেঁয়াজ শেষ! কয়েকজন ক্রেতার অভিযোগ পেয়ে রাজশাহীর ৫টি পয়েন্টে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর রেলগেটে পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ক্রেতা হিসেবে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ বিক্রি করতে করতে হঠাৎ এক যুবকের ৩টি ব্যাগে ২কেজি করে ১০কেজি পেঁয়াজ ৫টি প্যাকেটে পাঠিয়ে দিলেন ডিলার মেসার্স নাহিদ ট্রেডার্সের রজব খান নামের বিক্রেতা।

এসময় আরও দেখা যায়, কয়েক দফায় এভাবে পেঁয়াজ অন্যত্র পাঠিয়ে দিলেন সেই বিক্রেতা। অথচ পেঁয়াজ ২ কেজির বেশি কাউকে দেয়া হচ্ছে না।

এত পেঁয়াজ কোথায় পাঠালেন জানতে চাইলে রেগে উঠে রজব নামের সেই বিক্রেতা বলেন, ‘কে আপনি? আপনার কাছে জবাবদিহি করতে কি আমি বাধ্য নাকি?’

এরপর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওটা আমার পার্সোনাল পেঁয়াজ। আমার বাসায় পাঠালাম।’ দুপুর ১২টার পর সাধারণ ক্রেতারা পেঁয়াজ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অথচ এতগুলো পেঁয়াজ আপনার বাসায় পাঠালেন? উত্তরে রজব খান বলেন, ‘এগুলো সরকারী পেঁয়াজ, আমার যা ইচ্ছা তা করব। যত পারেন লিখেন।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কয়েকটি পয়েন্টেই ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা গেছে। তবে দুপুরের পর পেঁয়াজ না পেয়ে ক্ষোভ নিয়ে ফিরে গেছেন তারা।

রাজশাহীর বাঘা থেকে শহরে আসা এক স্কুলশিক্ষক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, কাজে এসেছিলাম শহরে। টিসিবির পেঁয়াজের লাইনে দাঁড়ালাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পর বলছে আজ আর পেঁয়াজ দেয়া হবে না। বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হলো।

তবে লাইনে তুলনামূলক ভিড় কম তবু এত তাড়াতাড়ি পেঁয়াজ শেষ? এমন প্রশ্নে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টের টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন,‘৩ ঘণ্টা ধরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। আর কতক্ষণ ডিউটি করব?’

এমন অনিয়ম রোধে উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের নজরদারী ও অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি সাইদুর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.