রাজশাহীতে ঝরে পড়া আমের কেজি ৭ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে ঝরে পড়া আম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে এক কেজি আমের দাম পড়ছে ৭-১০ টাকা। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাসে এসব আম ঝরে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজশাহীর বানেশ্বর হাটে এসব আম কেনাবেচা হয়েছে।
বানেশ্বর হাটের আম ব্যবসায়ীরা বিটিসি নিউজকে জানান, হাটে মূলত যে আমগুলো কেনাবেচা হচ্ছে সেগুলো ঝরে পড়া। এই আমগুলোর কোনটা ভালো আছে, আবার কোনটা ফেটে গেছে। আঘাতপ্রাপ্ত এই আমগুলো পাকার সম্ভাবনা খুব কম। তবে কয়েকদিন গেলে পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কুড়িয়ে পাওয়া এসব আম বিক্রি করছেন অনেকে। এই আমগুলো দিয়ে আচার তৈরি করা হবে। সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা ঝরে পড়া আমগুলো কিনছেন। এরপর ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আচার কোম্পানিতে আমগুলো পাঠাবেন।
একটি ভ্যান গাড়িতে পাঁচ ক্যারেট আম নিয়ে হাটে এসেছেন আরমান। তিনি বলেন, গতকালের ঝড়ে আমগুলো পড়েছিল। তারপর কুড়িয়ে বাড়িতে রাখা হয়েছিল। আজকে তা বিক্রি করতে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে আমের দাম অনেক কম। প্রতি কেজি ৭ থেকে সাড়ে ৭ টাকা বলছে। ব্যবসায়ীরা ৭ টাকা কেজি বলছে। তাও দেয়নি। ৯ টাকা হলে দেব। যেখানে পাকা আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। কিন্তু ঝরে পড়া আম বিক্রি আছে ৭ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে আচারের জন্য আম বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।
অপর আম বিক্রেতা হৃদয় ইসলাম বাবু বলেন, ঝরে পড়া আমের স্থানীয়ভাবে খুব বেশি চাহিদা নেই। তবে যারা আচার করবেন তারা কিনছেন। এমন ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। যারা বড় ব্যবসায়ী আছেন, বিভিন্ন আচার কোম্পানির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে। তারা মূলত আমগুলো কিনে কোম্পানিগুলোতে সরবরাহ করে থাকেন। তবে আমগুলোর দাম খুবই কম বলছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। ঝরে পড়া আম হলে ৭ টাকা। আর কোয়ালিটি ভালো হলে সর্বোচ্চ ১০ টাকা দামে কেনাবেচা হচ্ছে।
বানেশ্বর হাটে আম কিনতে আসা মোস্তাকিন রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, ঝরে পড়া আমে আচার ছাড়া কোনো কিছু হবে না। তারা এই আমগুলো বিভিন্ন আচার কোম্পানিতে সরবরাহ করবেন। তারা প্রতি মাণ নাম কিনছেন ৩০০-৪০০ টাকা দরে। বিকেলের দিকে ট্রাকে করে আম পাঠানো হবে।
বানেশ্বর আমের হাটের ইজারাদার মাসুদ রানা বিটিসি নিউজকে বলেন, হাটে ঝরে পড়া আম উঠেছে। অনেকে কেনাবেচা করছেন। এই আমগুলো মূলত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে আচার কোম্পানিগুলো আছে সেখানে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ করেন। এসব আম ৩০০-৪০০ টাকা মণ দরে কেনাবেচা হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.