রাজশাহীতে ছিনতায়ের হাত থেকে কৌশলে রক্ষা করলেন বিচারক, ধরে ফেললেন ৩ ছিনতাইকারীকে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীতে গভীর রাতে গাড়িতে ফিরছিলেন বিচারক। রাস্তার কিছু ছিনতাইকারী সাধারণ গাড়ি ভেবে সেটি আটকে দেয়।
এক পর্যায়ে নেশাগ্রস্ত তিন কিশোর ছিনতাইয়ের চেষ্টা শুরু করে৷ তবে এ সময় কৌশলে তাদের ধরে ফেলেন ওই বিচারক। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার মদিনানগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সাহসী ওই বিচারকের নাম এমএম হুমায়ুন কবীর। তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি বিচারিক আদালতে কর্মরত।
তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায়।
ঘটনার পর জড়িতদের ছবিসহ নিজের ফেসবুক ওয়ালে বিচারক লিখেন, ‘নেশাগ্রস্ত থেকে ছিনতাইকারী হয়ে যাওয়া। বয়স আন্ডার দ্য ম্যাচুউরিটি। ছিনতাইয়ের চেষ্টায় আমার গাড়িকে টার্গেট করা, হাতেনাতে ধৃত এবং পুলিশে সোপর্দ করা। তারা বুঝতে পারেনি প্রটেকশন (পিস্তল) আমার সঙ্গেই ছিল। নেশার যন্ত্রণায় নিজের হাত নিজে কেটেছে তারা।
গত (বৃহস্পতিবার রাতে) ঘটনাটি রাজশাহী চন্দ্রিমা থানার পাশেই ঘটেছে। ’
তিনি আরও লেখেন, ‘বিশেষ দ্রষ্টব্য: নিজের সন্তানের প্রতি যত্নবান হোন। খেয়াল রাখুন তারা কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মেলামেশা করছে। এটা আপনারই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। ’
ঘটনা সম্পর্কে আরএমপির চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়েই আমরা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হই। তবে তার আগেই বিচারক ঝুঁকি নিয়ে তিনজনকে ধরে ফেলেন। ‘
ওসি আরও জানান, তাদের দেহ তল্লাশি করে সাত গ্রাম হেরোইন পাওয়া গেছে। তাই পুলিশ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছে। শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কমকর্তা।
সংবাদ প্রেরক ইফতেখার আলম, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.