রাজশাহীতে ঘাস কাটতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী

প্রতীকী ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ঘাষ কাটতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫ম শ্রেণীর আদিবাসী এক স্কুল ছাত্রী (১১)। ১০ বছরের ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ঘাস কাটতে মাঠে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী।
এসময় ভাইকে বেঁধে রেখে বোনকে ধর্ষণ করে পালিযে যায় দুই যুবক।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে ওইদিন রাতে দুইজনকে আসামি করে তানোর থানায় একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ভিকটিম আদিবাসি ছাত্রীকে উদ্ধার করে রবিবার সকালে রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া আদিবাসী পাড়ার জনৈক ব্যাক্তির ৫ম শ্রেনীর পড়ুয়া মেয়ে এবং ১০ বছরের ছেলে শনিবার স্কুল ছুটি থাকায় দুই ভাই বোন বাড়ি ছেড়ে আধা কিলোমিটার দূরে মাঠে খাড়র ধারে ক্যাসে ঘাস কাটতে যায়। দ্ইু ভাই বোনই চক রহমত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন।
এমন সময় এক গ্রামে মনিরুল ইসলামের ছেলে জনি (৩২) এবং আবুল কালামের ছেলে আলি (৩৬) ফাকা মাঠে দুপুরে ছোট দুই ভাই বোন পেয়ে লম্পট আলি তার ছোট ভাইকে গাছের সঙ্গে বেধে রাখে আর জনি ওই ছাত্রীকে জোর করে মুখে গামছা দিয়ে আটকিয়ে ধর্ষন করে ফেলে রেখে চলে যাই। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষনের শিকার আদিবাসি ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।
তানোর থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, ধর্ষনের শিকার আদিবাসি ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতেই একটি ধর্ষনের মামলা হয়েছে। আসামি দুইজনকে আটকের চেষ্টাই পুলিশ কাজ করছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.