রাজশাহীতে গ্রেফতার ৬ নারীসহ ৭ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ, রিমা- আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় গত বুধবার আটক ছয় নারীসহ সাতজনকে থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের রাজশাহী জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমা-ের আবেদন করেছে পুলিশ।
তবে রিমা- আবেদনের শুনানীর জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেন দিয়েছেন আদালত। বিকেলে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক আতাউর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আদালতে নেয়ার আগে আটক সাতজনসহ আরও দুইজনকে পলাতক দেখিয়ে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের সাতজনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে নেয়া হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। কিন্তু আগামী রোববার শুনানির দিন ধার্য করে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেফতারকৃতরা জেএমবির সাথে সম্পৃক্ত। অপরদিকে, জামায়াতের একটি সূত্র দাবি করে বলেছে, গ্রেফতারকৃতরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল্লাহ জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ছয় নারী সদস্যের পাঁচজনই কলেজছাত্রী। অন্য দু’জন স্বামী-স্ত্রী। তারা সবাই জেএমবির সাথে সম্পৃক্ত। আগে আটক দু’জনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার ভোরে উপজেলার ছয়ঘাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাদের আটক করে।

তিনি জানান, বুধবার ভোরে গোদাগাড়ী উপজেলার ছয়ঘাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে মোট সাত জনকে আটক করা হয়। এরমধ্যে একজন হলেন হাসান আলী (৫০)। তিনি গত বছরের ১১ মে গোদাগাড়ীর বেনীপুরে জঙ্গি (উগ্রবাদী) হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আটক অপর ছয়জনের মধ্যে রয়েছেন হাসানের স্ত্রী শেফালি বেগম (৪৮), তাদের দুই মেয়ে মারিয়া খাতুন কনা (২২) ও হানুফা খাতুন (২১), হাসানের ভাই রেজাউল করিমের তিন মেয়ে ফারজানা আক্তার সুইটি (২২), নাদিয়া সুলতানা তিশা (২১) ও রোজিনা সুলতানা কলি (২০)।

আটকদের মধ্যে তাদের মধ্যে মারিয়া খাতুন কনা গোদাগাড়ী প্রেমতলি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী, হানুফা খাতুন রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী, ফারজানা আক্তার সুইটি প্রেমতলি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী, নাদিয়া সুলতানা তিশা রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং রোজিনা সুলতানা কলি প্রেমতলি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

তিনি জানান, আটকদের মধ্যে হাসান আলী ও শেফালী খাতুন বেনীপুরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার পলাতক আসামি (মামলা নং ২৫, তারিখ- ১৩/০৫/১৭)। বেনীপুরের আস্তানায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে তাদের নাম আসে। পুলিশ তাদের খুঁজছিলো। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.