রাজশাহীতে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যা” আটক স্বামী!!

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর স্বামী সামিউল বাসার জয়কে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরীর শালবাগান এলাকায় এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

ওই গৃহবধু হলেন, শালবাগান এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে সামিউল বাসার জয়ের স্ত্রী শিউলি খাতুন (১৬)। তিনি নগরীর মধ্যে নওদাপাড়া এলাকার মকলেসুর রহমানের মেয়ে।
সামিউল বাসার জয় জানায়, ‘তার স্ত্রী শিউলী মাঝে মধ্যেই বলতো আমি তোর ভাত খাবো না। এনিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার মতো ঘটনা ঘটতো। মঙ্গলবার ঠিক এমনটিই ঘটেছিলো।
শিউলীর মা চায়না বেগম  জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জামাই জয়ের বাড়িতে ঈদের সেমাই চিনি দিতে গিয়েছেলেন তিনি। এসময় বাসায় গিয়ে দেখেন জামাই ও মেয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার ঘটনা। পরে তিনি তাদের বুঝিয়ে মেয়েকে নিয়ে আসতে চাইলে জয় বাধা দেয়।
তিনি বলেন, শিউলী তার মাকে বলে, ‘তুই আমাকে নিয়ে যা। না হলে আমি কোন কিছু করে ফেলবো।’ বলে শিউলী উঠে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। এর পরে তিনি চলে আসেন। পরে রাত ৮টার দিকে শিউলীর বাবাকে দিয়ে ফোন করা হলে জয়ের পরিবার থেকে বলা হয় শিউলী ভালো আছে। রাত ১১টার দিকে পুলিশ তাদের ফোন দিয়ে নিশ্চিত করে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
শিউলীর বোন মৌসুমি বলেন, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক  ছিলো। মাত্র আট মাস আগে তারা ছেলের নানা বাড়ি পালিয়ে গিযে বিয়ে করে। এসময় শিউলী নিখোঁজ হয়েছে এমন অভিযোগে পরিবার থেকে সাধারণ ডায়েরীও করা হয়।
তিনি আরো বলেন, খোঁজের তিন মাস পরে জানা যায়, শিউলী বিয়ে করেছে। তার পরে তারা শিউলী ও জয়কে মেনেও নেন। এনিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবিারিক ভাবে যাওয়া আসার সম্পর্কও গড়ে উঠে। তবে শিউলীকে জয় মাঝে মধ্যেই সন্দেহ করতো কারো সঙ্গে কথা বলছে কিনা। তাই তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে দিতো না জয়। এ নিয়ে কয়েকবার মারধরও করেছে সে।
চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানায়,  এই ঘটনায় স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া নিহত শিউলীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী  মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.