রাজশাহীতে কৃষকের জমি দখল করল ‘প্রাণ’


নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মো. মখলেশ নামের এক কৃষকের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রাণ কোম্পানির বিরুদ্ধে। এমনকি জমি ছাড়তে আপত্তি করায় ওই কৃষককে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করিয়ে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগও উঠেছে।

গত সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকালে এসব অভিযোগ এনে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই কৃষক। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ভুক্তভোগী মো. মখলেশ আলী উপজেলার পিরিজপুর এলাকার মৃত নিয়ামতুল্লাহর ছেলে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে উপজেলার চাঁদগোবিন্দপুর এলাকায় একই উপজেলার কুমারপাড়া এলাকার কামেজের ছেলে মো. সানাউল্লাহর ১১ বিঘা দাগের জমির মধ্যে ২ বিঘা ১৮ শতক জমি ক্রয় করেন কৃষক মো. মখলেশ। তবে সেখানে ৭ বিঘা জমি প্রাণ কোম্পানি কিনে নেয়। এরপর কোম্পানিটি মখলেশের ক্রয়কৃত ২ বিঘা ১৮ শতক জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ দেয় এবং কাটা তারের বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক জমিটি দখল করে নেয়।

ভুক্তভোগী কৃষক মো. মখলেশ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তিনি জমি ছাড়তে আপত্তি করায় প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর তার বাড়িতে পুলিশ পাঠায়। তৎকালীন গোদাগাড়ী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ. লতিব তার বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে তাকে ধরে নিয়ে আসেন এবং তার স্ত্রীকে আজেবাজে কথা বলেন। এরপর প্রাণ কোম্পানির দায়েরকৃত মামলায় তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।

তবে সর্বশেষ গত ১৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির গোপালপুর শাখার ম্যানেজার মেহেদী হাসান আবারো হুমকি-ধামকি প্রদর্শনপূর্বক স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগীতায় তার ওপর হামলা চালান। বর্তমানে তিনি ও তার স্ত্রী চরম হুমকির মুখে রয়েছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতপূর্বক জমি ফিরে পেতে প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছেন তিনি।

এবিষয়ে প্রাণ কোম্পানির গোপালপুর শাখার ম্যানেজার মেহেদী হাসান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সেখানে তার কোনো জমিই নেই। এনিয়ে জমির পূর্বের মালিকের সঙ্গেও মখলেশের ঝামেলা চলছে। প্রাণ কোম্পনির ক্রয়কৃত জমির ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন জিনিসিপত্র নিয়ে যাওয়ায় পুলিশ বাদি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন।

জানতে চাইলে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। প্রতিদিন তো অনেক অভিযোগ আসে। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি সাইদুর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.