রাজশাহীতে ঐতিহাসিক খাপড়া দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে মহানগরীতে ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে রাজশাহী হোমিওপ্যাথি কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহী নগর সভাপতি লিয়াকত আলী লিকুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন, কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহী মহানগরের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাদরুল ইসলাম, আলোচনা সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্ট-বিপ্লবীরা লড়াই করতে করতে অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এই বীর শহীদরা তরুণ প্রজন্মের জন্য আগামীর সংগ্রামে অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। তারাই বর্তমান প্রজন্মের বিপ্লবীদের মানবিক ও সমাজতান্ত্রিক সমাজ-রাষ্ট্র বিনির্মাণের লড়াই-সংগ্রামে পথ দেখাবেন।

বক্তারা বলেন, খাপড়া ওয়ার্ডের লড়াই আজও আমাদের উজ্জীবিত করে, পথ দেখায়। ভবিষ্যতের দিশা পাবার জন্য খাপড়া ওয়ার্ডের বিপ্লবী ইতিহাস জানা এবং অনুধাবন করা জরুরি। এরআগে সকাল ৯টায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দরা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও কমরেড মনি সিং এই খাপড়া ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছিলেন।

নিম্নমানের খাবার ও বন্দি নির্যাতনের প্রতিবাদে বিদ্রোহ করায় ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালায় তৎকালীন পুলিশ। তৎকালীন জেলার ইংরেজ মি. বিলের নির্দেশে চালানো হয় গুলি। এতে নিহত হন ময়মনসিংহের সুখেন্দু ভট্টাচার্য, দিনাজপুরের বলরাম সিংহ, নবাবগঞ্জের সুধীন ধর, কুষ্টিয়ার দেলোয়ার হোসেন ও হানিফ শেখ এবং খুলনার বিজন সেন ও আনোয়ার হোসেন। এরা সবাই কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী ছিলেন। এতে আহত হন আরো ৩১ বন্দি। পরবর্তী সময়ে দিনটি খাপড়া ওয়ার্ড দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.