রাজশাহীতে এক যুবকের নিজ উদ্যোগে তিনশত পরিবারকে খাদ্যদ্রব্য প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক:  উত্তর বঙ্গের অন্যতম বিভাগ রাজশাহী অর্থনৈতিক দিক থেকে অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেক পিছিয়ে।এখানে বেকারতের হার বেশী। নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজন বেশী। গত কয়েক দিন যাবত টানা লকডাউন এই সমস্ত লোকজনের উপর প্রভাব ফেলেছে। এমতবস্থায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এক যুবক।
নগরীর ১৮ নং ওয়ার্ড আলিফ লাম মীম ভাটার মোড়ের বাসিন্দা মো: সেরাজুল ইসলাম বিশুর ছেলে মো: আব্দুল্লাহ রন্জু শেখ।  তার ব্যক্তি উদ্যোগে তিনশত জনকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ( ৩১ মার্চ) দুপুর থেকে নগরীর ফিরোজাবাদ,পবামিল পাড়া, আসাম কলোনী, মালদাহ কলোনী এলাকায় হতদরিদ্র, নিম্নবিত্তদের মধ্যে প্রতি জনকে ১ প্যাকেট করে খাদ্য বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক প্যাকেটের মধ্যে ৩ কেজি চাল, ২কেজি আটা, ২কেজি আলু ছিল।
এগুলো বিতরণের আগে মুহূর্ত উপস্থিত সাবাইকে নিয়ে দেশবাসীর জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করে খাবারের ভ্যান নিয়ে এবং হতদরিদ্রদের তালিকা নিয়ে বের হন তিনি। এলাকাবাসী জানায় দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে যুক্ত মো: আব্দুল্লাহ রন্জু শেখ।
রন্জু শেখ বিটিসি নিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতোমধ্যে গণপরিবহন চলাচল, মার্কেট ও দোকানপাট, শিল্প কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। ফলে অনেক খেটে খাওয়া মানুষ বিশেষ করে একেবারে হতদরিদ্র, নিম্নবিত্তদের যেন খাবারের কষ্ট না হয় সে জন্যই রাজশাহী নগরীর ফিরোজাবাদ, পবামিল পাড়া, আসাম কলোনী, মালদাহ কলোনী এলাকায়  তিনশত জনকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
‘পর্যায়ক্রমে আরও বিতরণ করার চেষ্টা করা হবে। যারাই এ ধরনের খাদ্য কষ্টে থাকবে তাদের পাশেই আমি সাধ্যমত দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো। তাই আমি আবারো সবার কাছে অনুরোধ করবো আসুন সবাই মিলে এসব অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করি, তাদের পাশে দাঁড়াই। শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে থাকবে না এটাই আমার বিশ্বাস।
যেহেতু দেশের স্বার্থে, ভাইরাস যেন না ছড়ায় সেজন্য সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেহেতু অসহায়, গরীব, হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের একান্ত কাম্য বলে জানান তিনি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.