রাজশাহীতে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহীতে নানান আয়োজনের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে নগরীর বড়বনহগ্রাম এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটেও। সার্ভে ইন্সটিটিউটেও যুক্ত হয়েছে উন্নত প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি। ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইন্সটিটিউট থেকে বের হয়ে কেউ বেকার থাকে না। কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠার গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।
এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটের ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে নগরীর আমচত্তর, রেলগেট, সিটি কর্পোরেশন, তেরোখাদা স্টেডিয়াম ও সিটি হাট প্রদক্ষিণ করে ইন্সটিটিউটের সামনে এসে শেষ হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহমুদ হোসেন।
এরপর দ্বিতীয় অধিবেশনে দুপুর ২টায় আলোচনা সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। প্রধান অতিথি বক্তব্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটের ছয়টি রিট মামলার কারণে নিয়োগ নীতিমালা পাস করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু বর্তমানে তা পাস করা হয়েছে। ফলে তাঁরা এখন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। ভূমি মন্ত্রণালয় কোন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টের মালিক হতে পারে না উল্লেখ্য পূর্বক ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, সার্ভে ইনস্টিটিউশন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে হতে পারে না। টেকনিক্যাল মাদ্রাসা কারিকুলাম ও টেকনিক্যাল বোর্ডের অধীন হওয়া উচিত। পাশ করার পরে যারা চাকরি পাবেন না, তাদের নিজ নিজ এলাকায় প্রয়োজনে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়া হবে। সার্ভে নীতিমালা ড্রাফট করা হবে। ভবিষ্যতে দেশের ১ লাখ ৪০ হাজার মোজা ম্যাপ ডিজিটালাইজড করা হবে। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কোর্সের মাধ্যমে পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আব্দুল মান্নান, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মু. রেজা হাসান।
সংবাদ প্রেরক স্বা/-জনসংযোগ কর্মকর্তা, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.