রাজশাহীতে অপহৃত দুই শিক্ষকের একজন ফিরেছেন অপরজনের খোঁজ মেলেনি

বিটিসি নিউজ ডট কম ডট বিডি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা থেকে গত শনিবার সকালে অপহৃত দুই কলেজ শিক্ষকের একজন বাড়ি ফিরে এসেছেন। তার নাম বজলুর রহমান। তিনি চারঘাটের ডাকরা ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। তিনি উপজেলার রায়পুর গ্রামের আসমত আলীর ছেলে। এছাড়া একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক অপহৃত শফিকুর রহমান উজ্জ্বলের এখনো খোঁজ মেলেনি। শফিকুর রহমান উপজেলার আস্করপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃত বজলুর রহমান ঘটনার দিন (শনিবার) সন্ধ্যার আগেই ফিরে এসেছেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তার অপহৃত হওয়ার ব্যাপারে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, কোথায় থেকে ফিরে এসেছেন বা তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সে সম্পর্কে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, শফিকুর রহমান অপহৃত হওয়ার বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। তবে এতে কাউকে অভিযুক্ত করা হয়নি। তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ মেলেনি। তার সন্ধান পেতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি।

বিটিসি নিউজ ডট কম ডট বিডি

গত শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার অনুপমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে ওই দুই শিক্ষককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে। এরপর চারঘাটের ডাকরা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ ঘটনার দিন জানিয়েছিলেন, কলেজের ক্লাস শেষে মোটরসাইকেলযোগে চারঘাটে যাচ্ছিলেন বজলুর রহমান ও শফিকুর রহমান। তারা চারঘাট-আড়ানী সড়কের অনুপমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে কয়েকজন ব্যক্তি কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস থেকে নেমে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দেন। এরপর ওই মাইক্রোবাসে করেই তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি সূত্র জানিয়েছিল, বিষয়টি তারা শুনেছেন। তবে ডিবি পুলিশ তাদের আটক করেনি।
আর জানতে যোগাযোগ করা হলে র‌্যাব-৫ রাজশাহীর মিডিয়া সেল থেকে ঘটনার দিন জানানো হয়েছিল, র‌্যাব ওইদিন এ ধরণের কোন অভিযান ওই এলাকায় পরিচালনা করেনি। তাদের কাছে এ ধরণের কোনো তথ্য নেই। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.