রাজবাড়ী কলেজ অধ্যক্ষকে হয়রানী বন্ধের দাবীতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানববন্ধন

বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার রাজবাড়ী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাঃ আব্দুল কাইয়ুম কে ভূয়া ও সাজানো সংবাদ প্রকাশ এবং উচ্চ আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।
বুধবার দুপুরে কলেজের সামনে রাস্তায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজের শিক্ষার্থী অহিদ, মাসুমা, রাজু, শিক্ষক আফতার উদ্দিন, আব্দুল হাকিম, অভিভাবক মোঃ তোহরুল ইসলামসহ অন্যরা।
বক্তারা জেষ্ঠতার ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ডের আদেশে রাজবাড়ী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক মোহাঃ আব্দুল কাইয়ুম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিলেও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সাদেকুল ইসলামের ষড়যন্ত্র বন্ধের জোর দাবী জানান।
কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা। সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সাদেকুল ইসলাম নিজের দূর্ণীতি-অনিময় ও নিয়োগ বানিজ্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হয়রানীসহ নানা অপকর্ম ঢাকতে রাজবাড়ী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাঃ আব্দুল কাইয়ুম এর বিরুদ্ধে ভূয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ, সৃজিত কাগজ দিয়ে হাইকোর্টে রীটের প্রতিবাদ ও রীটকারী কুচক্রী শিক্ষকের বিচার দাবিতে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় শিক্ষার্থীরা মো. সাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিতে থাকে। এসময় কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী ও অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে রাজবাড়ী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাঃ আব্দুল কাইয়ুম জানান, কলেজের অধ্যক্ষ অবসরে গেলে নিয়ম মোতাবেক জেষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ হওয়ার কথা থাকলেও ষড়যন্ত্র ও পেশী শক্তি খাটিয়ে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হন কলেজের শিক্ষক মো. সাদেকুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে লিখিতভাবে অবহিত করা হলে বোর্ড নাচোল কলেজের অধ্যক্ষ কে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
তদন্তের প্রেক্ষিতে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে আমাকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছি। প্রেক্ষিতে সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সাদিকুল ইসলাম নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।
এরই অংশ হিসেবে ভূয়া ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ, সৃজিত কাগজ দিয়ে হাইকোর্টে রীট করেছেন। এরই প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে রাস্তায় নেমেছে।
তিনি বলেন, নিজের অবৈধ কর্মকান্ড ধামাচাপা দিতে এবং নিয়োগ বানিজ্যে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় আমাকে এমনভাবে হয়রানী এবং ষড়যন্ত্র করার বিচার দাবী করছি সচেতন সমাজ, শিক্ষানুরাগী ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। তিনি সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করে কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং ২০০০ সালে এমপিওভূক্ত হওয়া কলেজে প্রায় ৩’শ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন ২৬ জন, কর্মচারী ৫জন। প্রায় ৫ মাস আগে কলেজের পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখনও নিয়মিত কলেজ পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়নি। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.