রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতেই লকডাউন : মির্জা ফখরুল

ফাইল ছবি
ঢাকা প্রতিনিধি: রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতেই সরকার লকডাউন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, আজকে পরিবহণ শ্রমিকরা আন্দোলনে গেছে, যেতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। খেটে খাওয়া মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় কিংবা শ্রমিক, তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। বরং লকডাউনের নামে ক্র্যাকডাউন করে সরকার তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করছে। তারা বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুরো জাতি আজ তাদের কাছে জিম্মি। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে শ্রমিক শ্রেণি ও তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সোমবার শিবচরে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছেন। সরকারের যে কোনো ব্যবস্থাপনা নেই, এই দুর্ঘটনাই প্রমাণ। স্পিডবোট চালু করেছে ঠিক আছে; কিন্তু লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা তো থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আজ সরকার লকডাউন দিয়েছে। অথচ কোথাও কোনো লকডাউন নেই। গণপরিবহণ চালু করল, অথচ আন্তঃজেলা পরিবহণ চালু হবে না, শুধু জেলার মধ্যে থাকতে হবে। এগুলো থেকে বোঝা যায়, তরা কতটা দায়িত্বহীন, কতটা অযোগ্য।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, করোনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন শ্রমিক ভাই-বোনেরা। যে প্রণোদনা সরকার ঘোষণা করেছে তার মধ্যে কিন্তু শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ সেইভাবে রাখা হয়নি। সুনির্দিষ্টভাবে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। যা কিছু প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, মালিকদের দেওয়া হয়েছে। আর প্রণোদনা আওয়ামী লীগের যারা দোসর, তারা নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমরা বারবার বলেছি, করোনাকালে যাদের বেশি প্রয়োজন, যারা দিন আনে দিন খায়, যারা অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে কাজ করে, যারা ছোট-ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোয় কাজ করে তাদের আগে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা বলেছিলাম কমপক্ষে তিন মাসের এককালীন ১৫ হাজার টাকা অনুদান দিতে হবে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ উজ জামান, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দিন সরকার, জাহাঙ্গীর আলম, কোহিনুর মাহমুদ, কাজী আমীর খসরু, খন্দকার জুলফিকার মতিন, সুমন ভুঁইয়া, মাহবুবুল আলম বাদল প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.