রাজধানীতে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি টার্গেট করে প্রেম, আপত্তিকর ভিডিও ধারণ

ক্রাইম (ঢাকা) রিপোর্টার: সাইফুল ইসলাম ও বিথী আক্তার দম্পতি। বিথী বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক তৈরি করেন ফোনে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ডেকে আনেন বাসায়। আর সাইফুল দলবল নিয়ে হাজির হন তখনই। টার্গেট ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তোলা হয় আপত্তিকর অবস্থায়। জোর করে ধারণ করা হয় ভিডিও। পরে সাইফুল নিজেকে পরিচয় দেন সাংবাদিক আর দলের অন্যদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এরপর আদায় করা হয় মোটা অংকের টাকা।
রাজধানীতে এ রকম একাধিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, চক্রটির টার্গেট পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি।
এ দম্পতিসহ চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ তাদের অপকর্ম সর্ম্পকে জানতে পারে। সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে এ জঘন্য কাজটি চালিয়ে আসছিলেন তারা।
ওই দম্পতি জানান, প্রথমে টার্গেট করে বাসায় নিয়ে এসে মেয়ের সঙ্গে রুম দিই। সেখানে আপত্তিকর কাজ করার পর ভিডিও ধারণ করি। পরে সাংবাদিক বা প্রশাসনের ভয় দেখাই। থানায় ফোন করব বা থানায় নিয়ে যাব- এ ধরনের কথা বলি। এতে মান সম্মান বাঁচাতে ভুক্তভোগীর একটা লোভনীয় প্রস্তাব দেন। তাদের হাতে প্রতারণার শিকার অনেকেই মান সম্মানের ভয়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে নিস্তার পান।
পুলিশ বলছে, বয়স্ক ব্যক্তিদেরই মূলত টার্গেট করে চক্রটি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, আমরা এখানে এক দম্পতিকে ধরেছি, যারা ২০১৫ সাল থেকেই এরকম কাজ করে আসছেন। এর মধ্যে তারা দুবাই গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাজের একটা শ্রেণি অতিরিক্ত ফূর্তির তাগিদ বোধ করতে গিয়ে তাদের পেছনে ছোটেন। আর তাদের এমন ভীমরতিকে কাজে লাগিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অনেক প্রতারক আছেন। আমরা এখন হয়তো ৫ জনকে ধরেছি। এদের সঙ্গে হয়তো আরও কেউ জড়িত থাকতে পারেন।
এ ধরনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের দায় রয়েছে জানিয়ে সর্তক হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (ঢাকা) রিপোর্টার স্বপন বালমেকী / ঢাকা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.