রাউজান থানার ওসি কোপ খেয়েও সন্ত্রাসীকে ছাড়েননি

চট্টগ্রাম ব্যুরো: খুন, ডাকাতিসহ ১৭ মামলার আসামীকে ধরতে গিয়ে তার ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পরেও সন্ত্রাসীকে ধরে আনেন চট্টগ্রামের রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ। এ সময় অনেকগুলো অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

এ সময় ছুরিকাঘাতে ওসি কেপায়েতের হাতের একটি আঙুলের হাড়ে চিড় ধরেছে। এছাড়া আলমগীরের সহযোগীদের ছোড়া ছররা গুলিতে অপর তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

আটক ডাকাত সদস্য মো. আলমগীর (৪১) রাউজানে ‘আলম ডাকাত’ নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে দুটি খুন, পাঁচটি ডাকাতি, পাঁচটি অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় রাউজান, নগরীর পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানায় ১৭টি মামলা আছে।

তিনি যুদ্ধাপরাধে ফাঁসি হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী সন্ত্রাসী বিধান বড়ুয়া ও র‌্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত জানে আলমের সহযোগী ছিলেন বলে জানিয়েছেন ওসি কেপায়েত উল্লাহ।

জানা যায়, অভিযানে ১০টি শট গান, ছয়টি পাইপ গান, সাত রাউন্ড গুলি, গ্যাস গান সদৃশ একটি অস্ত্র ও ধারালো বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মহিউদ্দীন মাহমুদ সোহেল বিটিসি নিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাউজান উপজেলার পূর্ব রাউজান শামসু টিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭টি অস্ত্রসহ পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. আলমগীর প্রকাশ আলম ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আলমগীরের আস্তানা থেকে ম্যাগাজিন, কার্তুজ ও অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে। আলমগীরের বিরুদ্ধে মোট ১৭টি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।

অভিযানে রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও তথ্য দেন মহিউদ্দীন মাহমুদ সোহেল।

সং বাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চট্টগ্রাম ব্যুরো ..জিয়াউর রহমান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.