প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার (২৭ মে) রাতে ২-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। এই জয়ে রানার্সআপ হওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে স্পেনের সফলতম দলটি। টানা দুই ড্রয়ের পর এবার হেরেই গেল শেষ দিকে দশ জনের দলে পরিণত হওয়া সেভিয়া।
ঘরের মাঠে তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় সেভিয়া। ব্রায়ান হিলের শট ব্লকড হওয়ার পর পেয়ে যান রাফা মির। তার জোরাল শট থিবো কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে খুঁজে নেয় ঠিকানা। চতুর্দশ মিনিটে রদ্রিগোর অবিশ্বাস্য ব্যর্থতায় সমতা ফেরাতে পারেনি রিয়াল। লুকাস ভাসকেসের দারুণ ক্রস বিপজ্জনক জায়গায় পেয়ে যান রদ্রিগো। কিন্তু তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড শট রাখতে পারেননি লক্ষ্যে। ২৯তম মিনিটে রিয়ালকে সমতায় ফেরান রদ্রিগো। তার ফ্রি কিক ফেরানোর চেষ্টাও করতে পারেননি সেভিয়া গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।
৩৬তম মিনিটে একটুর জন্য বেঁচে যায় রিয়াল। এরিক লামেলার শট ব্যর্থ হয় পোস্ট লেগে। ছয় মিনিট পর অনেকটা রদ্রিগোর মতো ব্যর্থতায় দলকে হতাশ করেন সেভিয়ার এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার। আলেহান্দ্রো গোমেসের চমৎকার ক্রসে তিনি শট নেন অনেক উপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটে বোনোকে একা পেয়েও বাইরে মারেন রদ্রিগো। ৫০তম মিনিটে সেভিয়া ডিফেন্ডার মার্কোস আকুনার শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। ৬৯তম মিনিটে চমৎকার এক প্রতি-আক্রমণে রিয়ালকে এগিয়ে নেন রদ্রিগো। সেভিয়ার বাজে এক ফ্রি কিকের পর টনি ক্রুসের কাছ থেকে বল পেয়ে গতিতে এগিয়ে ও পায়ের কারিকুরিতে সবাইকে বোকা বানিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় জাল খুঁজে নেন তিনি।
৮৩তম মিনিটে বড় একটা ধাক্কা খায় সেভিয়া। দানি সেবাইয়োসকে অহেতুক ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন আকুনা। পাঁচ মিনিট পর ক্রুসের বুলেট গতির শট ঠেকিয়ে ব্যবধান বড় হতে দেননি সেভিয়া গোলরক্ষক।
৩৭ ম্যাচে ২৪ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে রিয়াল। ৩৬ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ৩৭ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত ১০ নম্বর রয়েছে সেভিয়া। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.