রঙিন ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা অসহায় ছালেহার পরিবার

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: রঙিন ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ছালেহার পরিবারের সদস্যরা। দিন শেষে এখন আর ভাইয়ের জরাজীর্ণ রুমে ঘুমাতে হবে না। সাত বছর আগে ডিভোর্স হয়ে মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ীতে চলে আসেন অসহায় ছালেহা।
ছোট ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে এখন প্রতিদিন রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। শুধু ঘরই নয়,দেওয়া হয়েছে লেপ-তোশক, চৌকি, শীতের পোশাক, সেলাই মেশিন , খাদ্যসামগ্রী, নগদ ৬ হাজার টাকা।
এছাড়াও শিশু রাকিবের মাদ্রাসায় লেখাপড়ার জন্য মাসিক আর জে রিফাত ভাই ১হাজার করে টাকা পাঠাবেন।
ঘরসহ সব কিছু পাওয়ার আনন্দে সিরাজগঞ্জর বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নে মধ্যমেটুয়ানী গ্রামের ছালেহার চোখে মুখে আনন্দের হাসি।
ঘর পেয়ে কেমন লাগছে, জিজ্ঞেস করায় ছালেহা বলেন, আমি দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্ট করতাম। স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি যে, আমি একখানা নতুন রঙিন ঘর পাবো। এত সুন্দর ঘরে থাকতে পারবো। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি ঘর, সেলাই মেশিনসহ সব কিছু পেয়ে। দোয়া করবো যতদিন বেঁচে থাকবো আপনাদের সবার জন্য।
ছালেহার ঘরে কাজে সেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছে শামীম হোসেন, লোকমান হোসেন, তারেক শাহরীয়ারসহ স্থানীয় যবুকেরা।
মামুন বিশ্বাস জানান, অসহায় ছালেহার খবর পেয়ে বিস্তারিত লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেই। ফেসবুকের কল্যাণে সংগ্রহীত ৭৮ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে খুব দ্রুত ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। আসলে আমরা সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি তাহলে আমাদের সমাজে অবহেলিত কোন মানুষ থাকবে না। আমাদের সবাইকে সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসা দরকার। তিনি আরো জানান, আমি শুধুমাত্র চেষ্টা করি ফেসবুক বন্ধুরা এগিয়ে আসে বলেই প্রতিটি মানবিক কাজের জয় হয়৷
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.