রংপুর সুগার মিলের নিজস্ব ইক্ষু খামারের ৫০ একর আখ ক্ষেতে ফের রহস্যজনক অগ্নিকান্ড

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জে অবস্থিত রংপুর সুগার মিলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের ৫০ একর জমির আখ ক্ষেতে আবারও রহস্যজনক ভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার ৬ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাধীন সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে আখ ক্ষেতে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়।
প্রতক্ষ্যদর্শীসূত্র ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় , সাহেবগঞ্জ ফার্মের আখ ক্ষেতে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গাইবান্ধা, গেবিন্দগঞ্জ, সোনাতলা, ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
এলাকাবাসী আরো জানায়,সুগার মিলের আখ ক্ষেতে বার-বার কেন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। বার-বার এ ধরনের ঘটনায় তারাও উদ্বিগ্ন। বিষয়টি রহস্যজনক মনে করে তারা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবী করেন।
এ বিষয়ে রংপুর সুগার মিলের আওতাধীন সাহেবগঞ্জ ফার্মের নিজস্ব আখ ক্ষেতে অগ্নিকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফার্মের ডিজিএম সৈয়দ ফিরোজ আলম,বার-বার আখ ক্ষেতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা রহস্য মনে হলেও আমাদের কেউ এঘটনায় জড়িত নেই।
এ ঘটনার খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রংপুর সুগার মিল রাষ্ট্রীয় সম্পদ,সেই মিলের নিজস্ব আখ ক্ষেতে বার-বার অগ্নিকান্ডের এমন ঘটনা দু:খ জনক। এঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার( সি সার্কেল)রেজিনূর রহমান,ওসি একে এম মেহেদী হাসান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম,ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ আব্দুল হামিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য,জার্মানের কারিগরি সহায়তায় ১৯৫৪-৫৫ সালে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন জেলার একমাত্র কৃষিভিত্তিক এ ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানটি গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে ৭০ একর জমির উপর গড়ে উঠে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৭ সালে মিলটি প্রথম উৎপাদনে যায়,এর পর থেকে মিলটি লোকাসানের বোঝা মাথায় নিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে চলছে।
 গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মিল চলে ৪৬ দিন ,লোকসান হয় ৪৯ কোটি ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার ১৬৮ টাকা। এ পর্যন্ত এ মিলে মোট লোকসান হয় ৩’শ ৩৬ কোটি ২৫ লাখ ৩২ হাজার ৯’শ ৮৯ টাকা।
এরপর আবার এ লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মিলের উৎপাদন শুরু হলেও তিন দিনের মাথায় ফের মিল বন্ধ হয়। ৪ দিন মিল বন্ধ থাকার পর পুন:রায় মিলের উৎপাদন শুরু হয়। এর পর গেল ২৩ ডিসেম্বর সাহেবগঞ্জ ফার্মের আখের জমিতে অগ্নিকান্ডে শতাধিক বিঘা আখ পুড়ে যায়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি মোঃ শাহরিয়ার কবির আকন্দ।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.