রংপুরে মৎস্যজীবিদের বিল নিলামকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে থানায় মামলা : মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, “বড় হযরতপুর মৎসজীবি সমবায় সমিতি লি. “১৯৭৪ সাল হতে উপজেলার সেরুডাঙ্গা বিল লীজ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। চলতি অর্থ বছরে ওই বিলটি নিলাম ডাকে অংশ নেয় ওই সংগঠনটি।
অপরদিকে, নিলাম ডাকে ‘সমাজ ভিত্তিক ভুমিহীন ক্ষুদ্র মৎসজীবি উন্নয়ন সংস্থা”সেরুডাঙ্গা শাখা অংশ নেয়। বড় হযরতপুর মৎসজীবি সমিতি’র সদস্যদের অভিযোগ, সমাজ ভিত্তিক ভুমিহীন ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি সংস্থাটি প্রকৃত মৎস্যজীবী সমিতি নয়।
সরেজমিনে সেরুডাঙ্গা বিলে গিয়ে দেখা গেছে, বিল পাড়ের প্রায় ৫’শ মৎস্যজীবির বসবাস সেখানে। তারা সকলেই ওই বিলের উপর নির্ভরশীল। জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন এই বিলটি।
ওই বিল পাড়ের মৎস্যজীবি সত্য চন্দ্র দাশ বলেন, আমরা ১৯৭৪ সাল হতে বিলটি লিজ নিয়ে মৎস্য চাষ করে জীবন ধারন করছি। স্থানীয় একটি অমৎস্যজীবি প্রভাবশালী চক্র বিলটি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করলে আমাদের উপর হামলা ও মামলা চাপিয়ে দিচ্ছে তারা।
গতকাল রোববার বিকেলে এর প্রতিবাদে বিল পারে বসবাসকারী মৎস্যজীবিরা মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। মানব বন্ধনে ৩শ মৎস্যজীবী অংশ গ্রহণ করেন।
আরেক মৎস্যজীবী আরতি রাণী দাশ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বীলে মৎস্য আহরন করতে না পারলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।
উপজেলা মৎস্যজীবি সংগঠনের নেতা সুধির চন্দ্র জীবন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বড় হযরতপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি. একটি প্রকৃত মৎস্যজীবি সংগঠন। অপরদিকে, সমাজ ভিত্তিক ভুমিহীন ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি সংস্থাটি বেশিভাগ সদস্য মৎস্যজীবি নয়। তারা অবৈধভাবে নিলাম ডাকে অংশ নিয়ে বিলটি দখলের চেস্টা চালাচ্ছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.