রংপুরে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর নামে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতি-নৃত্য (ভিডিও)

রংপুর প্রতিনিধি: মিঠাপুকুরে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীর নামে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে রাতভর নৃত্য ফলে স্বাধীনতার ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিজয় উল্লাস তরুণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উজ্জীবিত-প্রানবন্তের বিপরীতে হাস্যকর ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ে রুপান্তর হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, গত বুধবার (২২শে ডিসেম্বর) মধ্যেরাতে  রংপুর মিঠাপুকুরে বড়বালা ইউনিয়নে তরফসাদি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অথচ স্বাধীনতা বিজয় উল্লাসের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত চেতনার বিপরীতে সেখানে চলছে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে রাতভর নৃত্য।
উক্ত অনুষ্ঠানে রাত ১.১৫ মিনিটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হিন্দি, তামিল, ইংলিশ গানের সাথে অসলিল বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতির সাথে চলছে নৃত্য।
এছাড়া আমন্ত্রণ পাইনি কোনো মুক্তিযোদ্ধা, দেয়া হয়নি- সংবর্ধনা। জাতীয় সংগীত কিংবা দেশাত্মবোধক গানের বিন্দু মাএ কোন দৃশ্যমান সংস্কৃতি চর্চা চোখে পড়েনি।
এসময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বড়বালা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব সরকার তার আসন থেকে সরে গেলেও একান্ত সাক্ষাতকারে, অপসংস্কৃতি ও বচন বেঙ্গ করে সংস্কৃতি চর্চার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে বর্তমানে যে কালচার এটা একটা ট্রেডিসনে পরিনত হয়েছে। স্বাধীনতা বা বিজয়ের মাস কোনো বিষয় নয়, আনন্দ উল্লাস টায় বড় এমন টায় ভাবে মানুষ। তিনি আরো সু-নিশ্চিত করে বলেন, বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে কিন্তু আমন্ত্রণ পাইনি কোনো মুক্তিযোদ্ধা, দেয়া হয়নি সংবর্ধনা।
মিঠাপুকুর থানার কর্মরত এসআই নাজমুল উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টেরপেয়ে পরে তিনিও সটকে পড়ে।
এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ জানায়, বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও আমন্ত্রক করা হয়নি কোনো মুক্তিযোদ্ধা কে, না গাওয়া হয়েছে জাতীয় সংগীত ও দেশের গান। যে ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে, আজ সেই বাংলা কে ভুলে আমরা ইংরেজি, তামিল সহ নানা ভাষার গানে বচন বেঙ্গ অপসংস্কৃতি নৃত্যতে মেতেছি, খুবই দুঃখজনক। বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন করতেছি আমরা কিন্তু পাঠ্য বই ছাড়া তেমন কোনো যুদ্ধের ইতিহাস অনেকেই জানেনা। যদি আজ মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ করাহত হয়তো তাদের মুখ থেকে মুক্তিযুদ্ধের কিছু কথা শুনতে পেতাম। আজ আমরা যাদের প্রানের, ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি, অনুষ্ঠান করছি, তাদের আমন্ত্রণ জানাতে ভুলেগেছি এটি দুঃখজনক।
অপরদিকে, বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীর বিপরিতে বড়বালা ইউনিয়নে সংখ্যা গরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের, হিন্দু ধর্মিও কালিপূজা শুরু হয়েছে। পূজা মন্ডপে ধর্মিও রিতি-নিতি মেনে সুশৃঙ্খল ভাবে পূজা পালিত হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.