রংপুরে প্রথম শ্রেনির শিশুধর্ষণ : প্রচুর রক্তক্ষরণ, ধর্ষক আটক : আলামত জব্দ

রংপুর ব্যুরো:  রংপুর মহানগরীর আমাশু কুকরুল এলাকায় প্রথম শ্রেনির এক শিশুকে(৭)  ধর্ষণ করেছে অনিমেষ অনু নামের এক সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়া মুমুর্ষ অবস্থায় শিশুটিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের এ ঘটনায় রাত ১০ টায় পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে  নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের আমাশু কুকরুল পূর্ব পাড়ার

দর্জি কৃষ্ণ রায়ের পুত্র অনিমেষ পার্শ্ববতি মিলন রায়ের বাড়িতে যায়। এসময় মিলন ব্যবসার কাজে বাইরে এবং মা সুবর্না রায় ঘুমে ছিলেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মিলনের প্রথম শ্রেনি পড়–য়া কন্যাকে লোভ দেখিয়ে বাড়ির খানকা ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে অনিমেষ। এতে প্রচুর রক্তপাত শুরু হলে শিশুটিকে পাশের একটি ক্রিকেট খেলার মাঠে ছেড়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়।

ঘুম থেকে উঠে ধর্ষিতার মা সূর্বণা রায় মেয়েকে না পেয়ে খুঁজতে থাকে। পরে মাঠ থেকে দাদা ভরত চন্দ্র রায় এসে অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশুটিকে ক্রিকেট খেলার মাঠে শুয়ে থাকতে দেখে। সেখানে গিয়ে  দাদা ভরত চন্দ্র প্রচুর রক্তপাত হতে দেখে জিজ্ঞাসা করলে শিশুটি ঘটনা খুলে বলে।

পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে রংপুরের কামালকাছার মুনমুন ক্লিনিক নিয়ে যায় মা সুবর্না বেগম। সেখান থেকে শিশুটির চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

শিশুটির দাদা ভরত রায় বিটিসি নিউজকে জানান, হাসপাতালে নেয়া হলেও সেখানে এক ঘন্টা কোন চিকিৎসা দেয় নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি পুলিশ কেস বলে থানায় অভিযোগ করতে বলে। আমার ছেলে মিলন পরে পরশুরাম থানায় অভিযোগ করলে হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়। এরপর পুলিশ এসে রক্তাত্ব জামাকাপড়, শপ জব্দ করে নিয়ে যায়। এসময় নিজ বাড়ি থেকে অনিমেষকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, শিশুটির প্রচুর রক্তপাত হওয়ায় তাকে হাসাপাতালের গাইনি বিভাগের এ্যনেসথেসিয়া ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। পাশে নির্বাক মা সুবর্না রায়। তিনি জানান, আমার শিশুটি মেয়েটির ওপর এই অত্যাচার ভগবান সহ্য করবে না। আমি আমার মেয়ের সুচিকিৎসা এবং ধর্ষকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

শিশুটির পিতা মিলন রায় বিটিসি নিউজকে জানান, আমি থানায় এসেছি, মামলা দেয়ার জন্য। আমার শিশুটির জন্য আমি সুচিকিৎসা চাই। যাতে যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারে। আর যে আমার শিশু মেয়ের জীবনটা নস্ট করে দিলো তার ফাঁসি চাই।

ধর্ষকের চাচী দুলালী রায় বিটিসি নিউজকে জানান, অনিমেষ আমাশু  প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। শিশুটি আমাশু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্রী।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পরশুরাম থানারঅফিসার ইনচাজ মোহোসিউল গনি বিটিসি নিউজকে জানান, আমরা খবর পাওয়ার আগেই ধর্ষিতা শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা অনিমেষকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছি। ধর্ষনের বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি কিশোর অপরাধ হওয়ায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.