রংপুরে পুলিশ কর্তৃক শিক্ষার্থী গণধর্ষণের ঘটনা (ভিডিও)

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল হকের নেতৃত্বে নগরীর হারাগাছ থানার ক্যাদারের পুল এলাকায় একটি বাড়িতে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ডেকে এনে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এ এস আইসহ  ৪ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার,  অভিযুক্ত এএসআইকে আটক করার পাশাপাশি সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। এ ঘটনায় আরও দুই নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা ও মামলা সুষ্ঠু তদন্তে পিবিআই তে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য দিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে নেয়া হয়েছে। সেখানে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ সহ নিবিড় তদন্ত শুরু করেছে পিবিআই।

পিবিআই রংপুর জেলার পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, গতকাল সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের পর আরপিএমপি থেকে আমরা মামলাটির তদন্তভার পাই। ভার পাওয়া মাত্রই আমরা হাসাপাতালের ওসিসিতে গিয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করি। এছাড়াও পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া ঘটনার তথ্য উপাত্ত ও নথিপত্র নিয়ে আমরা প্রকাশ্য অপ্রকার্শ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি।

পিবিআই ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানার ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। তিনি আগে হারাগাছ থানার এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরিচয়ের সময় রায়হান তার ডাক নাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে। সম্পর্কেরে সূত্র ধরে গত রোববার (২৫ অক্টোবর) সকালে ওই ছাত্রীকে রায়হান ডেকে নেয় নগরীর ক্যাদারের পুল এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া সুমাইয়ার পারভীন ওরফে মেঘলা ওরফে আলেয়ার বাড়িতে। সেখানে প্রথমে রায়হান ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে আরো কয়েকজন পরিচিত যুবককে অর্থের বিনিময়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করান। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সেখান থেকে বের হয়ে প্রথমে কোতয়ালী থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ওই ছাত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থল বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সুমাইয়ার পারভীন মেঘলা ও শম্পা বেগমসহ থানায় নিয়ে যায়। খবর দেয়া হয় পরিবারকে।

এরই মধ্যে ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত এএসআই রায়হানুলকে বাঁচাতে টাকার দেনদরবার চলে থানা এলাকায়। বিষয়টি অবহিত হয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সেখানে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা পাঠান। তার হস্তক্ষেপেই ছাত্রীর বাবা আয়নাল পুলিশ সদস্য রায়হান ও মেঘলাসহ অজ্ঞাত দু’জনসহ অন্যান্য অজ্ঞাতনামা সহযোগিদের নামে ধর্ষণ মামলা (নং ৩১) করেন। রাত পৌনে ১২টায় পুলিশ অসুস্থ্য ছাত্রীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করায় পুলিশ। সকালে তাকে হাসপাতালের ওসিসিতে নেয়া হয়। সেখানে তার পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.