যে তরুণেরা বিশ্বকাপ কাঁপাবেন

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: ফুটবলের সবচেয়ে বড় মঞ্চ বিশ্বকাপই । যেকোনো ফুটবলারের ক্যারিয়ারের বড় অর্জন  এই মঞ্চে পা রাখা। বিশ্বকাপে খেলেই অতীতে অনেকে পরিণত হয়েছেন কিংবদন্তিতে। স্থান করে নিয়েছেন ফুটবলের ইতিহাসে।  ২০১৮ বিশ্বকাপ  অপেক্ষায় আছে নতুন কোনো বিশ্ব তারকার। দেখে নেয়া যাক এবার বিশ্বকাপ কাঁপাতে পারেন এমন ১০ জন তরুণ কে ।

 

মরক্কো: আশরাফ হাকিমি

মরক্কো: আশরাফ হাকিমিহাকিমি রিয়াল মাদ্রিদের মূল একাদশে সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১৯ বছর বয়সেই । মৌসুমের অনেকটা সময় দানি কারভাহালের জায়গায় মাদ্রিদের ডান দিকের ডিফেন্সটাও সামলেছেন দারুণ দক্ষতায়। তাঁর দেশ মরক্কো বিশ্বকাপে ফিরেছে ২০ বছর পর। সেই দলের অনত্যম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হাকিমি। ডান দিকের রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণেও  বেশ পারদর্শী তিনি। তাঁর গতি, ক্রস সমস্যায় ফেলতে পারে প্রতিপক্ষ ডিফেন্স কে।

বেলজিয়াম: ইউরি তিয়েলেমানস

বেলজিয়াম: ইউরি তিয়েলেমানস: বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের আরেক কান্ডারি ইউরি তিয়েলেমানস। মাত্র ২০ বছর বয়সেই  ২০১৬-১৭ মৌসুমে  বেলজিয়ান লিগের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেখানেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন পুরো মৌসুমজুড়ে।  বেলজিয়ামের খেলার ধরণের সঙ্গে বেশ মানিয়ে নিয়েছেন তিনি।  দারুণ পাসিং, মাঠ নিয়ন্ত্রণ করতে পারার সামর্থ্য বলে দেয় ইউরি তিয়েলেমানস বিশ্ব ফুটবলের ভবিষ্যত সেরাদের একজন হতে যাচ্ছেন।

আইসল্যান্ড: আলবার্ট গুডমুন্ডসন

আইসল্যান্ড: আলবার্ট গুডমুন্ডসন: এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে আইসল্যান্ড। এই উপলক্ষকে রাঙিয়ে তুলতে চায় তাঁরা। আইসল্যান্ড তা করতে পারবে কিনা সেটি নির্ভর করছে গুডমুন্ডসনের ফর্মের উপর। পিএসভির হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল তাঁর মৌসুমজুড়েই। গতি, ফিনিশিং করার ক্ষমতা, ডিফেন্সে এলোমেলো করে দেয়ার মতো স্কিল নিয়ে গুডমুন্ডসন দারুণ একজন উইংগার।

উরুগুয়ে: রদ্রিগো বেনটাকুর

উরুগুয়ে: রদ্রিগো বেনটাকুর: সিরি আ তে জুভেন্টাসের হয়ে মাত্র ৫টি ম্যাচে প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেও উরুগুয়ে দলে জায়গা নিশ্চিত বেনটাকুরের। পাসিং, সুযোগসন্ধানী মনোভাব, ভিশন, খেলা গড়ে দেয়ার ক্ষমতা উরুগুয়ে দলে বেনটাকুরকে করেছে অপরিহার্য । লুইস সুয়ারেজ, এডিনসন কাভানিদের নিয়ে গড়া উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড লাইনআপের পেছনে বেনটাকুরের খেলা নিয়ন্ত্রণ করা এবং ফাইনাল পাস দেয়ার ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারলে উরুগুয়ে বিশ্বকাপে অনেকদূর যাবার আশা করতেই পারে।

                                                                            পর্তুগাল:গনসালো গুয়েদেস

 

পর্তুগাল:গনসালো গুয়েদেস:  ভ্যালেন্সিয়াকে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করানোর পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল গুয়েদেসের। উইং ধরে চিতার মতো ক্ষিপ্রগতির দৌড় প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের জন্য ভয়ের কারণ। দুর্দান্ত ক্রস করার ক্ষমতা, ড্রিবলিং, গতি মিলিয়ে গুয়েদেস খুবই বিপদজনক একজন খেলোয়াড়। বিশ্বকাপে কেবলমাত্র রোনালদো নন, পর্তুগাল গুয়েদেসের দিকেও তাকিয়ে থাকবে।

ইংল্যান্ড:মার্কাস রাশফোর্ড

ইংল্যান্ড:মার্কাস রাশফোর্ড: স্যার ববি চার্লটন, রুদ ফন নিস্তেলরুই, ওয়েইন রুনি, রবিন ফন পার্সিদের মতো কিংবদন্তিদের জুতোয় পা গলাতে এসেছেন রাশফোর্ড। গেল মৌসুমটা উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গেলেও বিশ্বকাপে জ্বলে উঠার সামর্থ্য পুরোপুরিই আছে রাশফোর্ডের। হ্যারি কেইনের সঙ্গে জুটিটা জমে গেলে ইংল্যান্ড এর বিশ্বকাপ যাত্রা আরো মসৃণ হবে তা বলাই যায়।

ব্রাজিল:গ্যাব্রিয়েল জেসুস

ব্রাজিল:গ্যাব্রিয়েল জেসুসরোনালদো নাজারিওর বিদায়ের পর একজন ‘নাম্বার নাইন; খুঁজে ফিরছিল জেসুস। একের পর এক স্ট্রাইকার এসেছেন, গিয়েছেন। ম্যানচেস্টার সিটির মাত্র ২১ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে এবারের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জেতার অন্যতম দাবিদার ভাবা হচ্ছে। ফিনিশিং, পজিশনিং সেন্স, সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া মিলিয়ে জেসুস পরিপূর্ণ একটি প্যাকেজ। গোলের জন্য তাঁর পায়ের দিকেই তাকিয়ে থাকবে ব্রাজিল।

মার্কো এসেনসিও

স্পেন:মার্কো এসেনসিও

স্পেন:মার্কো এসেনসিও: এসেনসিও নিজেকে প্রমাণ করেছেন পারফরম্যান্স দিয়েই। স্প্যানিশ এই ফুটবলার ছোট্ট ক্যারিয়ারে মনে রাখার মতো অনেক গোলই করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। ডান-বাম দুপায়েই সমানে শট করতে পারা তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ। স্কিল, ড্রিবলিং, পাসিং, ফ্রি-কিক, খেলা গড়াতেও কম যান না। স্পেনের বিশ্বকাপ সাফল্যের অনেকাংশই নির্ভর করছে এসেনসিওর জ্বলে উঠার ওপর।

ফ্রান্স:ওসুমানে ডেম্বেলে

ফ্রান্স:ওসুমানে ডেম্বেলে: ফ্রান্সের কী ভাগ্য কেবল এমবাপ্পেই নয় ফুটবলের ভবিষ্যত হতে যাওয়া আরেকটি হীরেও তাদেরই। মৌসুমের শুরুতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে বার্সেলোনা তাঁকে কিনেছে এক হাজার চারশ কোটি টাকা দিয়ে! এটাই প্রমাণ করে ডেম্বেলের সম্ভাবনা কতটুকু। ডেম্বেলের গতি, স্কিল যে কোনো ডিফেন্সের শিরদাঁড়ায় ভয় ধরিয়ে দিতে বাধ্য। বাম পাশে এমবাপ্পে, ডান পাশে ডেম্বেলে। ফ্রান্সের এই আক্রমণভাগ বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষে কীভাবে সামলাবে, সেটি নিয়ে আগ্রহ এখন সবারই।

 

                                                                                  ফ্রান্স:কিলিয়ান এমবাপ্পে

ফ্রান্স:কিলিয়ান এমবাপ্পে: পেশাদারি ক্যারিয়ার শুরু করেছেন মাত্র তিন বছর। এরই মধ্যে বিশ্ব ফুটবলে নিজের আগমনী বার্তা জানিয়ে রেখেছেন ফরাসি সেনসেশন। এই মুহূর্তে পিএসজির হয়ে মাঠ মাতানো এমবাপ্পের স্কিল আর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতাই বলে দেয় রাজত্ব করতেই এসেছেন তিনি। অনেকেরই ধারণা মেসি-রোনালদোর পর নেইমার নন, এমবাপ্পেই হবেন ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা। বিশ্বকাপে সাফল্য পেতে ফ্রান্সও তাকিয়ে তাঁর দিকে। #

 

 

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.