যে কারণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি তুরস্ক

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্করাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে তুরস্ক পশ্চিমা নেতৃত্বকে অনুসরণ করেনি। কারণ তুরস্ক বাস্তববাদী অর্থনৈতিক বিবেচনা ও ‘ভারসাম্যের নীতি’ অনুসরণ করে।
রোববার তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন হাবার্টর্ক টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার কারণ হিসেবে কালিন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আঙ্কারা ‘ভারসাম্যের নীতি’ অনুসরণ করছে।
তিনি বলেন, যেহেতু আমরা জ্বালানির জন্য বিদেশি উৎসের ওপর নির্ভরশীল, তাই আমরা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করি। যেমন করে ইরানের সঙ্গেও করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গেও তুরস্কের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
সাক্ষাৎকারে তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আমরা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিনি। অবশ্যই আমাদের দেশের স্বার্থরক্ষা করতে হবে।
কালিনের মতে, মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে রাশিয়ার চেয়ে তুরস্কের অর্থনীতি বেশি ক্ষতি হবে।
ইব্রাহিম কালিন দাবি করে বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছি। বর্তমানে পশ্চিমারাও এটি মেনে নিয়েছে। ভূরাজনৈতিক কারণে তারা তুরস্কের অবস্থান সম্পর্কে কিছু বলে না।
তিনি জোর দিয়ে আরও বলেন, তার দেশ রাশিয়ান ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা আরোপের নীতি সমর্থন করে না।
কালিন জিজ্ঞাসা করে বলেন, যাদের পশ্চিমে বিলিয়নিয়ার বলা হয়, তাদের রাশিয়ায় অলিগার্ক বলা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপে কি এমন কোনো নেতা নেই?
তিনি আরও বলেন, তুরস্ক রুশ সামরিক অভিযানকে ‘আক্রমণ’ হিসেবে দেখে। তিনি ইউক্রেন-রাশিয়া উভয়কেই বলেন, যত দীর্ঘ যুদ্ধ হবে, মূল্য তত বেশি দিতে হবে।
কালিন বলেন, সত্যি বলতে কী— অন্য কোনো দেশ নেই যে দুই পক্ষকে একত্রিত করার চেষ্টা করে।
তার মতে, বিশ্ব একটি নতুন শীতল যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে। যেখানে পশ্চিমে শক্তিশালী রুশবিরোধী মনোভাব ও রাশিয়ায় ‘পাশ্চাত্যবাদবিরোধী’ মনোভাব ছড়িয়ে পড়েছে। (সূত্র: তাস নিউজ)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.