যেভাবে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন নবী (সা.)

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: পরিচয় দিতে গিয়ে অনেকেই বাড়াবাড়ি করেন। পরিচয় দেওয়ার আগে নিজের ব্যক্তিত্ব, গুণগানসহ নানান ধরেণের টাইটেল লাগিয়ে থাকেন। অথচ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে ছিলেন খুবই বিনয়ী। তার কথায় অনেক বেশি নম্রতা প্রকাশ পেতো। কীভাবে তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশ করতেন।
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্ব মানবতার জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। তিনি মানবতার মহান শিক্ষক। মুসলিম উম্মাহ কিভাবে বিনয়ী ও নম্রতা প্রকাশ করবে, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে রয়েছে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিনয় ও নম্রতা প্রকাশে কেমন ছিলেন নবিজি, তা তার মুখ থেকেই শোনা যাক-
হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘তোমরা আমার প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না, যেমন ঈসা ইবনে মরিয়াম সম্পর্কে খ্রিস্টানরা বাড়াবাড়ি করেছিল। আমি আল্লাহর বান্দা। তাই তোমরা বলবে, আল্লাহর বান্দা ও তার রাসুল।” (বুখারি)
কত সুন্দর অহংকারহীন সাদামাটা সাবলীল পরিচয়। যেমন নেই বাড়াবাড়ি আবার বিনয় ও নম্রতায় ভরপুর। অথচ সমাজের দায়িত্বশীলদের প্রতি লক্ষ্য করলে বোঝা যায়, তাদের মাঝে বিনয় ও নম্রতা কতদূর অনুপস্থিত। আর সমাজপতিদের সম্মান না করলে তো উপায়ই নেই।
মানপত্র রচনায় তাদের ব্যাপারে বাড়িয়ে না লিখলে, পঠনে গুণের বর্ণনা না দিলে তো কোনো দান-অনুদান তথা সুযোগ সুবিধা পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। অথচ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিনয় ও নম্রতা দিয়ে অন্ধকার যুগকে আলোকিত করেছিলেন। আর তার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.