যেখানে মুক্তমতকে দমন করা হয়, সেখানে সমাজ বধির : তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম ব্যুরো: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাঠদান বা সার্টিফিকেটের জন্য নয়। এখানে মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তমতের চর্চা হবে। এগুলাে ছাড়া গণতন্ত্র সুসংহত হয় না। যেখানে মুক্তমতকে দমন করা হয়, সেখানে সমাজ বধির।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা জ্ঞানভিত্তিক বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্তমত চর্চার কেন্দ্র হতে হবে। আমাদের সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমার অনেক মধুর সম্পর্ক। তাই পার্লামেন্ট-অফিস বাদ দিয়ে এখানে এসেছি। এখানে এলে দেখি পুরনো গাছ, স্থাপনা ও ইমারতগুলা অক্ষুণ্ন আছে। কিন্তু হারিয়ে গেছে বন্ধুরা।আবার যদি সেই দিন ফিরে পেতাম! চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে যে সাহস ও শক্তি সঞ্চয় করেছি, তা আমাকে রাজনৈতিক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে সহযোগিতা করেছে। ১৯৮৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর চাকসু ভবনের সামনে থেকে আমাকে অপহরণ করা হয়। আমাকে তখন হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গত ৫৫ বছরের পথচলায় দেশ গঠন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলায় অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। সারা বিশ্বে এখানকার অনেক শিক্ষার্থী ছড়িয়ে আছে। শিক্ষা, গবেষণা ও নোবেল প্রাপ্তি থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান রয়েছে। একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য দেখলে অনুপ্রাণিত হই।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম বদিউল আলম, অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান, চাকসুর সাবেক ও বর্তমান ভিপি মাজহারুল শাহ চৌধুরী ও নাজিম উদ্দীন, চবি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম এবং সাধারণ মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.