যুদ্ধ আর ভীতি নিয়ে ইউক্রেনীয়দের বড়দিন পালন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনের মানুষ পালন করছে এবারের বড়দিন। উৎসবমুখর পরিবেশের বদলে সবার মাঝে বিরাজ করেছে ভীতি।
বড়দিন উপলক্ষে দেয়া ভাষণে, দাসত্ব মেনে নেয়ার বদলে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এক বছর আগেও উৎসবমুখর পরিবেশে যীশুর জন্মোৎসব উদযাপন করেছে ইউক্রেনবাসী। বড়দিনের জমকালো নানা আলোকসজ্জায় কোন কমতি ছিল না। কিন্তু এবছর পাল্টে গেছে সেই চিত্র। ১০ মাস পার করা যুদ্ধে পুরো দেশ পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে।
বড়দিল উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এসময় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, গোটা দেশ এক ভয়াবহ সময় পাড় করছে। এবারের বড়দিনে আমাদের শিশুরা সুন্দার কোন মুহূর্ত কাটাতে পারছে না। গির্জার মধুর ধ্বনি আজ বিমান হামলার সাইরেনে ঢাকা পড়ে গেছে। সজন হারানোদের কাছে এই উৎসবের কোন অর্থ নেই। কিন্তু একটি বিষয় ভুললে চলবে না, যুদ্ধের চড়া দাম দিতে হলেও, দাসত্বের মূল্য আরো বেশি।
রুশ হামলা থেকে বাঁচতে মাটির নিচে বিভিন্ন বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন অসংখ্য ইউক্রেনীয়। এমনই এক আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেজে বড়দিনের আয়োজন করে কিয়েভের অপেরা থিয়েটার। কোরাসে শিল্পীরা গেয়ে ওঠেন বড়দিনের নিজস্ব সঙ্গীত।
ইউক্রেনের এক বাসিন্দা জানান, কেবল আমার নয় বড়দিনে সব ইউক্রেনীয়র একটি চাওয়া, আর তা হলো বিজয়। সেটা অর্জন হলেও অন্য স্বপ্নগুলোও পূরণ হবে।
বড়দিন উপলক্ষে বিশাল এক ক্রিস্টমাস ট্রি সাজানো হয়েছে রুশ দখলকৃত মারিওপোলে। ২০ মিটার উচ্চতার সুদৃশ্য গাছটি রাখা হয়েছে মারিওপোলের ফ্রিডম স্কয়ারে। এর সামনে রাখা হয়েছে নানা ধরনের উপহার সামগ্রী। তবে এতো সব আয়োজন খুশি করতে পারছে না যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনীয়দের। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.