বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিরতির পর গাজায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার অধীনে কোন বিদেশি বাহিনীকে মোতায়েন করা হবে, তা ইসরাইল সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রোববার (২৬ অক্টোবর) তিনি এ কথা জানান।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
তবে আরব এবং অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো সৈন্য পাঠাতে প্রস্তুত কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রতিবেদনে অনুসারে, ট্রাম্প প্রশাসন গাজা উপত্যকায় মার্কিন সৈন্য পাঠানোর বিষয়টি নাকচ করে দিলেও, বহুজাতিক বাহিনীতে অবদান রাখার জন্য ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, কাতার, তুরস্ক এবং আজারবাইজানের সাথে কথা বলছে।
এদিকে, নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে এবং আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিষয়ে আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, কোন বাহিনী আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য তা ইসরাইল নির্ধারণ করবে এবং আমরা এভাবেই কাজ চালিয়ে যাব।
গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তিনি গাজায় তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনীর যেকোনো ভূমিকার বিরোধিতা করবেন। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে একসময়ের উষ্ণ তুরস্ক-ইসরাইলি সম্পর্কে তীব্র তিক্ততা দেখা দেয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান গাজায় ইসরাইলের ধ্বংসাত্মক বিমান ও স্থল অভিযানের তীব্র নিন্দা জানানোর পর এই সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে।
৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সীমান্ত আক্রমণের পর হামাসের বিরুদ্ধে উপত্যকায় বিমান ও স্থল যুদ্ধ চালায় ইসরাইল। দুই বছর ধরে যুদ্ধ চলার পর যুদ্ধবিরতি হলেও গাজা অবরোধ করে রাখা ইসরাইল এখনও এই অঞ্চলে সমস্ত প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি জোরদার করার লক্ষ্যে ইসরাইলে সফরে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাহিনীতে সেই দেশগুলো থাকবে যে দেশগুলোর সাথে ইসরাইল স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তিনি তুরস্কের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।
রুবিও আরও বলেন, গাজার ভবিষ্যত শাসনব্যবস্থা নির্ধারণ করতে এখনও ইসরাইল এবং অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে কাজ করা বাকি আছে তবে হামাসকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। #

















