যুদ্ধবিরতি চায় ইউক্রেন, বেলারুশ সীমান্তে প্রতিনিধি দল

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কযুদ্ধের বিস্তারের মধ্যেই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে বেলারুশ সীমান্তের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছেছে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল। আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
কার্যালয়ের এক বার্তায় বলা হয়েছে, প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ, প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক এবং উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকোলা টচটস্কি।
তবে প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি প্রতিনিধি দলে নেই।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের ওই বার্তায় ‘তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার’ চাওয়া হয়েছে। 
এদিকে কিয়েভের দিকে এগোতে থাকা রুশ বাহিনী নিরাপদে রাজধানী ছাড়তে নাগরিকদের সুযোগ করে দিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেঙ্কোভ এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা কিয়েভের বাসিন্দাদের অনুরোধ করছি। শহরের নাগরিকরা কিয়েভ-ভ্যাসিলকভ মহাসড়ক দিয়ে নিরাপদে রাজধানী ত্যাগ করতে পারবেন। এই পথ উন্মুক্ত এবং নিরাপদ।
“আমি আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই, রাশিয়ান ফেডারেশনের লক্ষ্য কেবল সামরিক স্থাপনা। বেসামরিক নাগরিকদের কোনো ঝুঁকি নেই।”
ইউক্রেনে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে এ পর্যন্ত ১৪ শিশুসহ ৩৫২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রাশিয়ান সেনারা নাগরিকদের বাসাবাড়ি এবং স্কুলেও হামলা করছে।

(রাশিয়ার হামলায় কিয়েভের বিধ্বস্ত স্থাপনা থেকে উড়ছে ধোঁয়া : ছবি: সিএনএন)

তবে জেনারেল কোনাশেঙ্কোভের বিবৃতিতে ইউক্রেনের এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে। রাশিয়া বলছে, ইউক্রেন সরকার কিয়েভের নাগরিকদের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এছাড়া দেশটির জাতীয়তাবাদীরা রাজধানীর আবাসিক এলাকাগুলোতে গোলাবারুদ নিয়ে অবস্থান নিয়েছে বলে আবারও অভিযোগ করা হয়েছে।
রাজধানীকে রক্ষায় কিয়েভের রাস্তায় স্বেচ্ছাসেবী নাগরিক, এমনকি পার্লামেন্ট সদস্যদেরকেও অস্ত্র হাতে অবস্থান করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার আক্রমণের গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়ার কথা জানানো হয়েছিল ইউক্রেন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। সেনাবাহিনী জেনারেল স্টাফের এক বিবৃতিতে রাশিয়ান হামলা ঠেকিয়ে দেয়ার দাবি করে বলা হয়, গোলন্দাজ বাহিনী রাশিয়ার পাঁচটি সামরিক যান ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
যদিও এ দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। (সূত্র: সিএনএন)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.