যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভকারীদের আবারও “সন্ত্রাসী” বললেন ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে টানা কয়েকদিনের সংঘর্ষের পর গত সোমবার সিয়াটলের পুলিশ ঐ এলাকা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়।

তবে সিয়াটল শহরের একাংশে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি এলাকা নিয়ে ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিক্ষোভকারীদের আবারও সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাম্প। খবর বিবিসি’র

জানা যায়, বিক্ষোভকারীরা ক্যাপিটল হিলের ঐ অংশে স্বাধীনভাবে বিচরণ করছেন। তাদেরকে ‘অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসীদের’ অভিহিত করে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হলে তিনিই ব্যবস্থা নেবেন। তবে তার এমন কথায় ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ওয়াশিংটনের গভর্নর ও সিয়াটলের মেয়র। তার এলাকাটিতে ট্রাম্পকে নাক না গলানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) একের পর এক টুইটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিয়াটলের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে জনবহুল শহরে ‘নৈরাজ্যবাদীদের তৎপরতা’ রুখতে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় ওয়াশিংটনের গভর্নর, সিয়াটলের মেয়র ও অন্য কর্মকর্তাদের সমালোচনাও করেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ‘নিজেদের শহরের নিয়ন্ত্রণ নিন, এখনি। আপনারা না নিলে, আমি নেবো। অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসীরা সিয়াটলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।’ তবে ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ওয়াশিংটনের গভর্নর ইনস্লি বলেন, ‘সরকার চালাতে পুরোপুরি অক্ষম কোনো ব্যক্তির ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ব্যাপার থেকে দূরে থাকা উচিত।’

এদিকে সিয়াটলের মেয়র ডারকান বলেছেন, ‘আমাদের নিরাপদে থাকতে দিন। আপনি (ট্রাম্প) বাঙ্কারে ফিরে যান। সিয়াটলে অভিযান চালানোর হুমকি দেয়া, আমাদের বিভক্ত করা এবং শহরে সহিংসতা উসকে দেয়ার বিষয়গুলো কেবল অনাহূতই নয়, অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।’

মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানায়, পুলিশ সরে আসার পর থেকে সিয়াটলের পূর্ব অংশের ওই এলাকায় বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছে। আন্দোলনকারীরা ক্যাপিটল হিলের এ পুলিশমুক্ত এলাকাকে ‘ক্যাপিটল হিল অটোনোমাস জোন’ বা চ্যাজ নামে ডাকছে।

উল্লেখ্য, গেল ২৫ মে মিনিয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের অসংখ্য শহরের মতো সিয়াটলও ফুঁসে উঠে।

দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলনের কারণে ঐ শহরটিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন। জারি করা হয় কারফিউ। আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের ‘অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ’ নিয়ে শহর কর্তৃপক্ষের বেশ কিছু সদস্যের সমালোচনার পর সোমবার সিয়াটলের মেয়র ক্যাপিটল হিলের আশপাশ থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.