যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে জালিয়াতির আশ্রয়, গ্রেফতার-৪

ক্রাইম (ঢাকা) রিপোর্টার: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে অন্য দেশে ভ্রমণের জাল এন্ট্রি ও এক্সিট সিল ব্যবহার করে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা।
এই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে কিছু ট্রাভেল এজেন্সি। মার্কিন দূতাবাসের করা মামলায় দ্বিতীয় দফায় চারজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, চক্রটির আরও অনেকের নাম পেয়েছে তারা।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে ভিসাপ্রত্যাশী কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে সন্দেহ হয় কর্মকর্তাদের। তদন্ত করে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দালালদের কাছ থেকে ভুয়া নথিপত্র সংগ্রহ করে দূতাবাসকে প্রতারিত করেছে একটি চক্র।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহযোগী আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা গত ২৩ মার্চ এ বিষয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ প্রথম দফায় ছয়জনকে গ্রেফতার করে। যারা বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আসামিরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাওয়ার উদ্দেশ্যে মার্কিন দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেন। সেই পাসপোর্টে নেপাল, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, চীনসহ ভিয়েতনামের সিল দেখা যায়। পরে দূতাবাস সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখে প্রতিটি সিলই জাল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ সম্প্রতি বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘প্রথমে পাসপোর্ট তারা নেয়, তারপর বলে আপনাকে আমরা আমেরিকার ভিসা পাইয়ে দেব। পাসপোর্ট নিয়ে তারা তাদের অফিসে বসেই বিভিন্ন দেশের ভিসা সিল তাদের পাসপোর্টে বসায়। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং দুবাই এ ধরনের দেশের সিল তারা ব্যবহার করে।’
গোয়েন্দা প্রধান আরও বলেন, এসব ভিসা প্রসেসিংয়ে প্রতারক চক্রটি প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছে। জাল এন্ট্রি এবং এক্সিট সিল ব্যবহার করেছে চক্রটি। স্বপ্নের দেশ আমেরিকা যাওয়া কথা দিয়ে তারা এ ধরনের প্রতারণা করেছে, সেটি তারা স্বীকার করেছে।
এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এর আগেও গত ১৮ জানুয়ারি একই ঘটনায় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সহকারী আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাইকেল লি বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। তখনও ছয়জন গ্রেফতার হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (ঢাকা) রিপোর্টার স্বপন বালমেকী / ঢাকা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.