বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুই দিনের সফরে গতকাল যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে বাণিজ্যসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন দুই নেতা। এই সফরে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যে ১৫০ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে।
দুই দেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, বিশ্বে এই দুই দেশ মিলে যতো কাজ করেছে তা আর কোনো দুই দেশ মিলে করতে পারেনি।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ও স্টারমার
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে দাবি করেছেন যে, তেলের দাম কমে গেলে ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, খুব সহজভাবে বললে তেলের দাম কমে গেলে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধ থেকে সরে যাবেন। তার আর কোনো বিকল্প থাকবে না। ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন যে, যদিও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ, তার পরও তিনি ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন। কারণ দেশটি রাশিয়ার তেল ক্রয় করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন যে, তার আয়োজক যুক্তরাজ্য রাশিয়ার তেল আমদানি করে না। ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, তিনি কি গত মাসে পুতিনকে আলাস্কায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অনুতপ্ত? জবাবে ট্রাম্প ‘না’ সূচক উত্তর দেন। তবে তিনি বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান। ট্রাম্প আবারও আফগানিস্তানে বাগরাম বিমান ঘাঁটি করতে চান।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার বলেন, যুক্তরাজ্য খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দেশ হলেও সব ধর্মকে আমরা উদ্যাপন করি। আর এটাই দেশের জন্য গর্বের বিষয়।
বাক্স্বাধীনতা দমনের বিষয়টি অস্বীকার করে স্টারমার বলেন, বাক্স্বাধীনতার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্য। আমরা এটাকে রক্ষা করি। স্টারমার বলেছেন যে, তিনি বাক্স্বাধীনতা এবং ক্ষতির কারণ হতে পারে এমন বাকের মধ্যে একটি রেখা টেনেছেন।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব জুড়ে সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার জন্য যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ। তবে আমরা শান্তির সন্ধানেও ঐক্যবদ্ধ। গাজা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক বলেও জানান স্টারমার।
তিনি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, তিনি স্টারমারের মতের সঙ্গে একমত নন। তিনি বরং হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির ওপর জোর দেন।
বুধবার দুই দিনের যুক্তরাজ্য সফরে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এটি তার দ্বিতীয় সফর যা এর আগে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে ঘটেনি। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.