যা বন্ধ হয়েছে, তারও বেশি হল চালু হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: এক দশকের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) পালিত হচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। নামে জাতীয় হলেও আয়োজনটি আদতে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বা এফডিসি কেন্দ্রিক। যেখানে উপস্থিতি ছিলো না চলচ্চিত্রের নিয়মিত মুখ। তারওপর রমজান মাস। ফলে নিয়ম রক্ষার স্বার্থেই অনুষ্ঠিত হয়েছে যাবতীয় কর্মসূচি।
এদিন বেলা ১২টার দিকে এফডিসিতে আসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনিই ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের আয়োজনের প্রধান অতিথি। বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির হন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছেন এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন।
বেলা সোয়া বারোটার দিকে আনন্দ র‌্যালি দিয়ে শুরু হয় জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের কার্যক্রম। এরপর বেলুন ও কবুতর ওড়ানোর মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রের কল্যাণ কামনা করা হয়। একই সময় উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকাও।
এরপর জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে যথারীতি অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সংস্কৃতির সমস্ত শাখার সন্নিবেশে যেটা সৃষ্টি হয়, সেটি চলচ্চিত্র। এতে গান থাকে, নৃত্য থাকে, চিত্রকলা থাকে। সুতরাং সংস্কৃতি চর্চার জন্য, একই সঙ্গে আমাদের এই জনপদ বিদেশি চলচ্চিত্রের বাজারে যাতে পরিণত না হয়, সেটা নিশ্চিতের জন্য জাতির পিতা অনুধাবন করেছিলেন, একটি চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন দরকার। সে কারণেই পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে বিল উত্থাপন করেছিলেন।’
চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরতে শুরু করেছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আশি-নব্বই দশকে চলচ্চিত্রের যে অবস্থা ছিল, নানা কারণে তা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ইতোমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের চলচ্চিত্রকে সেই হারানো জায়গায় ফিরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। যেমন ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালু করার জন্য এবং নতুন হল নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য। ইতোমধ্যে অনেকগুলো সিনেপ্লেক্স ও বন্ধ হয়ে যাওয়া হল চালু হয়েছে। কিছু বন্ধ হয়েছে যেমন সঠিক, কিন্তু যা বন্ধ হয়েছে, তারও বেশি চালু হয়েছে। এতে করে চলচ্চিত্র শিল্পের সুদিন ফিরে আসতে শুরু করেছে। চলচ্চিত্র শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।’
আলোচনা সভার মিলনায়তনটি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট ছিল বিধায় তথ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যের শেষে অনুরোধ জানান, আগামী বছরের আয়োজনে যেন এ বিষয়টি নজরে রাখা হয়।
১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু। সেই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা বা ইপিএফসিডি। যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বা বিএফডিসি নামে পরিচিতি পেয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর সেই যুগান্তকারী পদক্ষেপের দিনটি স্মরণীয় রাখতেই ২০১২ সালে ‘চলচ্চিত্র দিবস’র সূচনা হয়। সেই থেকে প্রতি বছরের ৩ এপ্রিল এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি মো: লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.