বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দুজনই করেছেন দুটি করে গোল। চারটি গোলই দর্শনীয়, দুজনের প্রতিভা আর স্কিলের প্রমাণ। তবে উয়েফার টেকনিক্যাল পর্যবেক্ষক প্যানেল এগিয়ে রাখল ভিনিসিউসকে। ‘প্লেয়ার অব দা ম্যাচ’ স্বীকৃতিটি পেলেন তিনিই। ভিনিসিউস অবশ্য তাতে অবাক। তার মতে, এই ম্যাচের সেরা ছিলেন রদ্রিগো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার সালসবুর্কের বিপক্ষে প্রথমার্ধে রেয়াল মাদ্রিদকে স্বস্তি দেন রদ্রিগোই। দারুণ দুটি গোল করে দলকে এগিয়ে রাখেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও বাড়ান কিলিয়ান এমবাপে।
এরপর ভিনিসিউসের পালা। তার প্রথম গোলটি ছিল দেখার মতো। প্রতিপক্ষের তিনজনের পাশাপাশি গোলকিপারও কিছু করতে পারেননি সেখানে। পরে স্কিলের ঝলক দেখিয়ে আরেকটি গোল করেন ২৪ বছর বয়সী তারকা।
ক্যারিয়ারে দারুণ এক মাইলফলকও তিনি স্পর্শ করেন এ দিন। রেয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে তার গোলের সেঞ্চুরি হয়ে যায় প্রথম গোলে। পরের গোলে তিনি আরেক ধাপ এগিয়ে যান রোনালদোর রেকর্ডের পথে। রেয়ালের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি গোল করা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোনালদো (১০৪ গোল)।
পরে ম্যাচ-সেরার ট্রফি নিয়ে ভিনিসিউস বললেন, পুরস্কারটি তিনি আশা করেননি।
“আমার তো মনে হচ্ছিল, প্রথমার্ধে আমি ঠিক ভালো খেলতে পারিনি। এটা বরং রদ্রিগোর প্রাপ্য। এমনকি জুডও (বেলিংহ্যাম) পেতে পারত, কিংবা আরও কয়েকজন। তবে দলের জয় আর নিজের গোলে আমি খুশি, যদিও আমার খেলা আজকে ভালো ছিল না।”
গোল না পেলেও ম্যাচজুড়ে আলাদা করেই নজর কাড়েন বেলিংহ্যাম। বিশেষ করে, রদ্রিগোর দ্বিতীয় গোলে ইংলিশ ফুটবলারের ব্যাকহিল ছিল চোখজুড়ানো। তার প্রশংসায় উচ্চকিত ছিলেন রদ্রিগো।
“জুডের সঙ্গে খেললে… যেভাবে সে বিচরণ করে মাঠে, যে ধরনের পাস দেয়, খেলাটা সবসময়ই সহজ হয়ে ওঠে। আজকে দ্বিতীয় গোলে তার অ্যাসিস্ট ছিল সুন্দর। তার সঙ্গে খেলতে ভালোবাসি আমি।” #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.