মোড়েলগঞ্জে মাঠজুড়ে এখন পাকা সোনালী গমের সমরোহ (VDO)

মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি: উচ্চ ফলনশীল পুষ্ট সমৃদ্ধ মাঠভর্তি পাকা সোনালী গমের আবাদ। লবনাক্ত এরিয়ায় এক সময়ে শুধুমাত্র দেশি আমন ধান ফসল হতো। সেখানে এখন দু’ ফসলী বিভিন্ন প্রজাতির ফসল উৎপাদন হচ্ছে।
এ বারে পতিত ৫০ শতক জমিতে প্রথম গম চাষ শুরু করেন মো. শহিদুল ইসলাম লিটন। গম চাষে সার ও কীটনাশক কম লাগে, একটু সেচ দিলে ভালো ফলন হয়। কম খরচে ৩ মাসের মাথায় ২০ মন গম পাবেন বলে তিনি আশাবাদি। বিক্রি হবে ১২শ’ থেকে ১৪ শ’ টাকা দরে প্রতি মন গম।
তথ্য ও ভিডিও চিত্রে আমাদের মোড়েলগঞ্জ প্রতিনিধি এম.পলাশ শরীফ এর রিপোর্টে।
মোড়েলগঞ্জ ১৫নং সদর ইউনিয়নের ভাইজোড়ার বাসিন্দা মৃত. মাষ্টার তৈয়েবুর রহমানের ছেলে সফল কৃষক শহিদুল ইসলাম উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী দেশি আমন ধান ঘরে তোলার পরে পতিত দেড়বিঘা জমিতে বারি ৩২ গম চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়ে মুখে হাঁসি ফুটেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে প্রর্দশনী বাস্তবায়নে এ উপজেলায় সদর ইউনিয়ন, বলইবুনিয়া, পুটিখালী, দৈবজ্ঞহাটী, চিংড়াখালী, হোগলাপাশা ও বনগ্রাম ইউনিয়নে ১৬ হেক্টর তথা ৪০ একর জমিতে এ গমের ফসল চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা।
ভাইজোড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম লিটন, সেলিম শেখ, শুকুর শেখ, আব্দুল আজিজ শেখ সহ একাধিক কৃষকরা আরো বেশি সার বীজ দাবী করেন কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যে।
ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পতিত জমিতে চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষে এ ইউনিয়নে প্রথম বারে এ গমের চাষ হয়েছে।
কৃষি দপ্তরের পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন প্রযুক্তির মাধ্যেমে নির্দিষ্ট সময়ে রবি সষ্য প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। এ কারনেই নতুন নতুন ফসল উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে বলে মনে করেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সিফাত আল মারুফ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি এম.পলাশ শরীফ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.