মোরেলগঞ্জে প্রভাবশালীদের ঘেরের পেটে ৬ কোটি টাকা ব্যায়ের রাস্তা, ক্ষতির আশংকা

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে জিউধরা ইউনিয়নে প্রভাবশালী মৎস ঘের ব্যবসায়ীদের ঘেরের পেটে নির্মিত ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে আর.সি.সি দুটি সড়ক ভেঙে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির আশংকায় এলাকাবাসি।
ব্যাক্তি স্বার্থে মৎস ঘেরে ভেঁড়ি বাধ না দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে সরকারি রাস্তা। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যাক্তিদের দেখভাল করার দায়-দায়িত্ব থাকলেও নেই কোন তদারকি। এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতিমালা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরে ক্ষতিসাধনকারী প্রভাবশালী ঘের ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন দপ্তরে।
সরেজমিনে ও প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের মাদ্রাসা বাজার হয়ে বারইখালী গোলবুনিয়া অভিমূখী ১কিলোমিটার আর.সি.সি সড়ক। এ সড়কটি ২০১৫ সালে সরকারি বরাদ্দে কে ডি আর আই ডি পি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয়। একই সময় মাদ্রাসা বাজার হয়ে লক্ষীখালী ভায়া-ডুমুরিয়া অভিমূখী জি.পি.এস প্রকল্পের ৫কিলোমিটার আর.সি.সি সড়ক ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়।
সর্বমোট ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে রাস্তা দুটি এখন বিভিন্ন স্থান থেকে ভেঙ্গে গিয়ে অনেক জায়গা জুড়ে ফাটল ধরে ধসে পড়েছে রাস্তা ও পাইলিং এখন মৎস ঘেরের মধ্যে। দুটি সড়কেই ভাইজোড়া ও বারইখালী গ্রামে দুইপাশে ছোট বড় দেড় শতাধিক মৎস ঘের করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
এসব ঘেরগুগুলোতে ভেড়িবাধ না দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে সরকারি রাস্তা। বিভিন্ন স্থান থেকে রাস্তা কেটে ঘেরের পানি নিস্কাশনের জন্য বসানো হয়েছে কাঠের বাক্স ও পাইপ। পানির চাপে সড়কের নিচের অংশে মাটি ধসে গিয়ে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ তৈরী হয়েছে। যে কোন সময় মূল সড়ক ভেঙ্গে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির আশংকায় রয়েছে স্থানীয়রা। প্রতিদিন এ গুরুত্বপূর্ন সড়ক দুটি থেকে যানচলাচল সহ জিউধরার পাশ্ববর্তী বহরবুনিয়া ইউনিয়নে চলাচল করছে কয়েক হাজার মানুষ।
এ ঘটনায় এলাকাবাসির পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ আলী খলিফাসহ অর্ধশতাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা গণস্বাক্ষরে ঘের ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ হাওলাদারসহ একাধিকদের বিরুদ্ধে সড়কে ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবরে পৃথক একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবজাল হোসেন মাসুম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে ।
জিউধরা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, লক্ষিখালীর বারইখালী আরসিসি সড়ক দুটি সংলগ্ন ঘের মালিকদের ভেড়ি না থাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইলিং ভেঙে পড়েছে। ইতোপূবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করে ভেড়ি দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে কোন কর্নপাত করছে না। নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অবহিত করা হয়েছে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সড়কের পাশে পুকুর বা ঘের থাকলে সেখানে পৃথক ভেড়িবাধ দিতে হবে ব্যক্তিমালিকানাধিন জমির মালিকদের। রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলো উপজেলায় মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের অবহিত করা হয়েছে। নীতিমালা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, জিউধরা ইউনিয়নে রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির বিষয় অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি গনেশ পাল ও এম.পলাশ শরীফ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.