‘মোদির পা ছুঁয়ে বিহারকে লজ্জিত করেছেন নীতিশ’

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এর মাধ্যমে তিনি মূলত বিহারকে লজ্জিত করেছেন। এমন মন্তব্য করেছেন বিহারের রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিস্ট কাম রাজনৈতিক অধিকারকর্মী প্রশান্ত কিশোর।
তিনি বলেন, নিজের ক্ষমতাকে অব্যাহত রাখা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী মোদির পা ছুঁয়েছেন নীতিশ কুমার। একটি রাজ্যের নেতা সেই রাজ্যের জনগণের গর্ব। কিন্তু নীতিশ কুমার যখন প্রধানমন্ত্রী মোদির পা স্পর্শ করেছেন, তখন তিনি বিহারকে লজ্জায় ডুবিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে দিল্লিতে এনডিএ জোটের এক মিটিংয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ভাগলপুরে এক পাবলিক মিটিংয়ে এসব কথা বলেছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি নিজে ‘জন সুরাজ’ নামে একটি প্রচারণা চালান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, প্রশান্ত কিশোর ওই মিটিংয়ে বলেছেন, জনগণ আমার কাছে জানতে চায় কেনো আমি নীতিশ কুমারের সমালোচনা করি না।
আমার কথা হলো, আগে তিনি একজন ভিন্ন ধরনের মানুষ ছিলেন। তখন তিনি নিজের বিবেককে বিক্রি করে দেননি।
প্রসঙ্গত, নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) হয়ে ২০১৫ সালে প্রচারণা চালিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তার দুই বছর পরে ওই দলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। এবার লোকসভা নির্বাচনে নীতিশ কুমারের জেডিইউ জয় পেয়েছে ১২ আসনে। এর মধ্য দিয়ে চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) পরেই বিজেপির মিত্র হয়ে উঠেছে জেডিইউ।
প্রশান্ত কিশোর বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্ষমতায় ফেরায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন নীতিশ কুমার। এ নিয়ে ব্যাপক আলাপ আলোচনা হয়েছে। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তার অবস্থানকে কিভাবে কাজে লাগাচ্ছেন? তিনি রাজ্যের কোনো সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য তার অবস্থানকে ব্যবহার করছেন না। তিনি পা স্পর্শ করছেন নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য। বিজেপির সমর্থন পাওয়ার জন্য। এমনকি ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরেও তিনি ক্ষমতা ধরে রাখতে চান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য লোকসভা নির্বাচনে ২০১৪ সালে বিস্ময়করভাবে প্রচারণা চালানোর জন্য প্রথম খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে প্রশান্ত কিশোরের। কিন্তু ২০২১ সালে তিনি রাজনৈতিক পরামর্শ দেয়া বন্ধ করেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও জগমোহন রেড্ডির মতো বেশ উচ্চ পর্যায়ের রাজনীতিকের সঙ্গে কাজ করেছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.