মোংলা বন্দরে পড়ে আছে আমদানী করা অসংখ্য গাড়ি, সাড়া নেই নিলামে

বাগেরহাট প্রতিনিধি: মোংলা বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে আমদানী করা অসংখ্য রিকন্ডিশন গাড়ি। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করলেও তেমন সাড়া নেই। ফলে বন্দরে তৈরী হচ্ছে গাড়ির পাহাড়। এই পরিস্থিতির জন্য আমদানীকারকদের দায়ের করা মামলাকে দায়ী করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

মোংলা কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. মহিদ রিয়াদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ২ শতাধিক গাড়ি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান।

নিয়ম অনুযায়ী আমদানী করা গাড়ি বন্দরে পৌঁছার ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করিয়ে না নিলে সেগুলো সরকারী নিলামের তালিকায় চলে যায়। পরে শুল্ক ও রাজস্ব আদায়ে কাস্টম কর্তৃপক্ষ তা নিলামে তোলে।

চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত গত ১ বছরে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৫ হাজার ৬৫৩টি রিকন্ডিশন গাড়ি নিলামে ওঠে। এরমধ্যে মাত্র ৬টি গাড়ি ক্রেতারা ছাড় করাতে পেরেছেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে নিলামে তোলা হয় ৫০টি গাড়ি। এরমধ্যে মাত্র ২টি গাড়ির জন্য দরপত্র জমা পড়লেও গাড়ি ছাড় হয়নি একটিও।

সহকারী এ রাজস্ব কর্মকর্তা আরও বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমদানীকারকদের মামলার কারণে ক্রেতারা নিলামে গাড়ি কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে  বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারবিডা) সভাপতি আব্দুল হক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘সময় মতো গাড়ি ছাড় করাতে না পারলে কেউ মামলায় যায় কি যায় না, আসলে আমি জানি না। হয়তো মামলা করা একটা মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।‘

তবে এ ব্যাপারে মোংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. হোসেন আহম্মেদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সঙ্গে কথা বলেছি, আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করে এই সমস্যার সমাধান করবো।’

বন্দর সূত্র জানায়, রাজধানীর সঙ্গে দূরত্ব কম হওয়ায় ২০০৯ সাল থেকে দেশে আমদানী করা গাড়ি খালাস হয় মোংলা বন্দর দিয়ে। আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত গত ৯ বছরে এই বন্দর দিয়ে মোট গাড়ি আমদানী হয়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৮১৯টি। সে হিসাবে দেশে মোট আমদানীর ৬০ ভাগ গাড়ি আসে মোংলা বন্দর দিয়ে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমাদের বন্দরের বিভিন্ন শেড ও ইয়ার্ডে ৩ হাজার ২৪টি গাড়ি পড়ে আছে। বর্তমানে ২ হাজার ৬০০ গাড়ির মতো নিলামের তালিকায় আছে। এসব গাড়ি নিলামযোগ্য। যার মধ্যে ৪৬৫টি গাড়ি ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আমদানীকৃত।’

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.