মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ, উপকূলে প্রচুর বৃষ্টি

বাগেরহাট প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে মোংলা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঝড়টি বর্তমানে মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এছাড়া, বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
আজ সোমবার ভোর রাত থেকে ঝড়ের তীব্রতা ও বাতাসের গতিও বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল রোববার রাত ৯টায় চার নম্বর হঁশিয়ারি সংকেত জারির পর মধ্যরাত থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়।
সোমবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত মোংলায় ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া কর্মকর্তা ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী।
তিনি বলেন, ‘হুঁশিয়ারি সংকেত জারির পর থেকে ভারি বৃষ্টিপাত ও ঝড় শুরু হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি বাড়ায় লোকজনের মধ্যে ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। কেউই ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। কিন্তু সরকারি-বেসরকারে প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় চাকুরীজীবিদের ঝড় উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে। শহরের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।’
এদিকে আবহাওয়া খারাপ হতে থাকায় বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহণের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) কালাচাঁদ সিংহ। তিনি বলেন, ‘সকাল ১০টায় জরুরি বৈঠক শেষে প্রয়োজনীয় করণীয় সম্পর্কে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ইতিমধ্যেই বিদেশি জাহাজসহ সব নৌ-যানকে সতর্কতাবস্থায় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘মোংলা পৌর শহরে ৩২টিসহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মোট ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ব্যবস্থা করা হচ্ছে কেন্দ্রগুলোতে শুকানো খাবারেরও। তবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে জয়মনিরঘোল, কাইনমারী, কানাইনগর ও শেলাবুনিয়া। এ সব এলাকায় বেশি সতর্কতাস্থায় থাকতে বলা হয়েছে বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকদের।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.