মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে ১৯ কিলোমিটার ইনার বার ড্রেজিং শুরু


বাগেরহাট প্রতিনিধি: মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে ৭৯৩ কোটি ৭২ লাক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে পশুর চ্যানেলের ১৯ কিলোমিটার ইনারবার ড্রেজিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে মোংলার জয়মনির ঘোল নামক স্থানে এই ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের হাবিবুন নাহার এমপি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
এসময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ ন ম ফয়জুল হক, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন এম আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) মো. গিয়াস উদ্দিন, ইনার বার ড্রেজিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শেখ শওকত আলীসহ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কর্মকর্তা-কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পশুর চ্যানেলের জয়মনির ঘোল থেকে বন্দর জেটি পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার এই ইনার বার খননের ফলে বন্দরের নাব্যতা সংকট নিরসন হবে। মোংলা বন্দর কার্যত চট্টগ্রাম বন্দরের বিকল্প বন্দর হিসেবে পরিণত হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মযজ্ঞ শেষ হলে মোংলা বন্দরের গতিধারা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ফেয়ারওয়ে বয়া পর্যন্ত চ্যানেলের মোট দৈর্ঘ্য ১৪৫ কিলোমিটার। মোংলা বন্দর জেটি থেকে হারবারিয়া (জয়মনির ঘোল) পর্যন্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার ইনার বার হিসেবে চিহ্নিত। ইনার বার চ্যানেলের বর্তমান গভীরতা ৫ দশমিক ৫ মিটারের কম। বর্তমান এই গভীরতায় জোয়ারের সুবিধা নিয়ে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৭ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ জেটিতে আসতে পারে।
“মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বার ড্রেজিং” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৭৯৩ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে বন্দর জেটি থেকে জয়মনির ঘোল পর্যন্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার খনন করা হবে। এর ফলে ৯.৫০ মিটার থেকে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ মোংলা বন্দর জেটিতে সরাসরি প্রবেশ করতে পারবে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে মাত্র ৭ মিটার গভীরতার জাহাজ আসতে পারে। ১৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়া এই প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালে শেষ হবে।
এই সময়ে ২১৬.০৯ লাখ ঘনমিটার বালু ড্রেজিং করা হবে। চীনা কোম্পানি জেএইচসিইসি এবং সিসিইসিসি’ ঠিকাদার হিসেবে এই ড্রেজিং কাজ করবে।
ইনার বার ড্রেজিংয়ের ফলে উত্তোলিত পলিমাটি ও বালু ফেলার জন্য ১৫শ একর জমি দরকার হবে। পশুর নদীর তীরবর্তী অল্প গভীরতা সম্পন্ন প্রায় ৫শ একর জমিতে জিওটেক্সটাইল টিউব দ্বারা ডাইক নির্মাণ করে সেখানে এসব মাটি ফেলা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.