মেয়ে থেকে ছেলে হলেন মাদরাসা শিক্ষার্থী, চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের আদিতমারীতে ১৬ বছরের কিশোরী থেকে ছেলেতে রুপান্তরিত হয়েছেন ৮ম শ্রেণীর এক মাদরাসা শিক্ষার্থী। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় তাকে এক নজর দেখতে দূর দুরান্ত থেকে এসে ভিড় করছেন অনেকেই।
উপজেলার দুর্গাপুর দীঘলটারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। আগে তার নাম জুলেখা থাকলেও নতুন নাম রাখা হয়েছে ইউসুফ আলী। তিনি স্থানীয় শটিবাড়ি দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ওই এলাকার কামরুজ্জামানের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়।
সরেজমিনে জানা যায়, কৃষক কামরুজ্জামানের আট ছেলে মেয়ের মধ্যে চার ছেলেমেয়ে ছোটবেলায় মারা যায়। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে স্থানীয় মাদরাসায় পড়াশুনা করতো। গত কয়েক মাস থেকে তার শারীরিক পরিবর্তন শুরু হলেও সেটি গোপন রাখা হয়। ১৫/২০ দিন আগে ঢাকাতে তার চাচার বাসায় বেড়াতে যায় জুলেখা। সেখানে বিভিন্ন মাজার ও মসজিদ পরিদর্শন করে। এসময় হঠাৎ মেয়ে থেকে তার লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে ছেলে যায়। বিষয়টি চাচা-চাচিকে জানায়। তারাও লিঙ্গ পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত হলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে দুর্গাপুরে আসেন।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তাকে এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসছেন।
তার চাচা হোসেন আলী বলেন, বেশ কয়েকমাস থেকে তার শরীরের পরিবর্তন শুরু হয়। পরে ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে পুরোপুরি লিঙ্গ পরিবর্তন হয়ে যায়। আজ ঢাকা থেকে এসেছে। অনেক লোকজন তাকে দেখার জন্য ভিড় করছে। অনেকটা বিড়ম্বনায় পড়ছি আমরা।
প্রতিবেশী এনামুল হক বলেন, হঠাৎ শুনলাম যে সে মেয়ে থেকে ছেলে হয়েছে। তাই আমরাও দেখতে এলাম। এখন অনেকেই এখানে আসছে তাকে দেখতে।
তার চাচি ছাদেকুন্নাহার বলেন, আমরা সবাই আল্লাহকে বিশ্বাস করি। এটাও বিশ্বাস করেছি। এখন মানুষের উপচেপড়া ভিড়ে তাকে বাড়িতে রাখাও মুশকিল হয়ে পড়েছে।
তার দাদি নুরজাহান বেগম বলেন, ঢাকায় তার চাচি চেক করে দেখছে মেয়ে থেকে ছেলে হইছে। আজ বাড়িতে আসার পর থেকে মানুষের ভিড়ে খুব জ্বালায় পড়ে গেছি। বাড়িতে থাকতে পারছি না।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে তাকে ও তার পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.